কোরবাণী ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে এবার কোন পশুর হাট বসানো যাবেনা বলে হুঁশিয়ারী করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। চলমান করোনা সংকটে আসন্ন কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে পশুর হাট বসানো নিয়ে সোমবার জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নাটোরে এবার থাকছেনা বা সরকারের অনুমোদনবিহীন কোন পশুর হাট। যেখানে সেখানে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নামে সরকারের অনুমোদনবিহীন কোন পশুর হাট বসানো যাবেনা। এক শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এসব
হাট বসায়। এত করে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায় ,তেমনি করোনাকালে এধরনের হাট
বসালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সুরাক্ষার ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব পড়বে। একারনে এসব অনুমোদনহীন হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এসভায়।
এছাড়া জেলার রাজস্ব হাটগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয় সেজন্য হাট ইজারাদারদের
নির্দেশ দেয়া হয়। এর ব্যত্যয় হলে হাট বন্ধ করে দেয়ারও হুঁশিয়ারী করা হয়। একই সাথে জাল টাকা সনাক্ত ও হাট পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহায়তা দিবে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ে নজরদারি বাড়াবে জেলা প্রানি স¤পদ ও স্বাস্থ্য বিভাগ ।জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, হাট ইজারাদার ফজল আলম শিলু, খামারি রফিকুল ইসলাম, ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবীউর রহমান পিপলু,সাংবাদিক মেহেদী হাসান বাবু প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম রাব্বী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফুন্নেসা,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রহিমা খাতুন এবং সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,ব্যাংক কর্মকর্তা সহ সরকারী অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।