জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আর নেই। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন আটবারের চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই বরেন্য শিল্পী।
সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে গত ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর থেকে রাজশাহীতে বোনোর বাসায় থাকছিলেন। তার দেখভাল করছিলেন বোনজামাই চিকিৎসক ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস। তবে গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তার। অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এন্ড্রু কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে ক্যামোথেরাপি দেয়া শুরু হয়। জনপ্রিয় এই শিল্পীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক সহায়তা করেন।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। গত ১১ জুন রাত ২টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন।
১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।