সতর্কবার্তা আর সচেতনতার সময় শেষ, নির্মাণাধীণ
ভবনে চাঁদাবাজি বন্ধে এবং প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সাথে জড়িতদের জিরো টলারেন্সে দমন করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)। আর এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার চিরতরে সমাধানের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আগামী ১ মাসের মধ্যে বগুড়াকে চাঁদাবাজ মুক্ত করার প্রত্যাশাও
ব্যক্ত করেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরের আয়োজনে সোমবার বিকেলে শহরের দত্তবাড়ি তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারের সভাকক্ষে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ এবং বগুড়া পৌরসভার সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপোরোক্ত কথাগুলি বলেন।
সভায় জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্ত করা নানা অভিযোগ এবং মতামতের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার আরো বলেন, ইতিমধ্যে জেলার সকল নির্মাণাধীণ ভবনে জেলা পুলিশের পর্যবেক্ষণের বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে, যার কারণে ইতিমধ্যেই সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ জনগণ। তিনি বলেন, অপরাধী ও চাঁদাবাজদের দমনে কাউকে কোন লিখিত অভিযোগ দিতে হবেনা মৌখিকভাবে
সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেই জেলা পুলিশ সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নেবে। সেই সাথে সাময়িক
সময়ের জন্যে যারা অপরাধ ছেড়ে দিয়ে পুলিশের চোখ কে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকেও তালিকা ধরে ধরে উৎখাত করা হবে মর্মে হুশিয়ারী দেন এসপি আলী আশরাফ। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী,
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক এবং বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শামসুদ্দিন শেখ হেলাল। গণমাধ্যমকর্মী এবং যুব সংগঠক সঞ্জু রায়ের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে মুক্তআলোচনায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, সদরের ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ যথাক্রমে সাবগ্রামের আবু
সালেহ নয়ন, ফাঁপোড়ের মহররম আলী, নামুজার রাসেল মামুন, শেখেরকোলার কামরুল ইসলাম এবং শাখারিয়া ইউপি’র কামরুল হুদা উজ্জ্বল, বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ যথাক্রমে ১ নং ওয়ার্ডের
সার্জিল আহম্মেদ টিপু, ২ নং ওয়ার্ডের তৌহিদুল ইসলাম বিটু, ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস, ১০ নং ওয়ার্ডের আরিফুর রহমান আরিফ, ১১ নং ওয়ার্ডের সিপার আল বখতিয়ার, ১২ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম প্রাং, ১৪ নং ওয়ার্ডের রেজাউল করিম রতন, ১৯ নং ওয়ার্ডের ওসমান
গণি, ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোস্তম আলী এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা
হাসি। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ আমিনুল ইসলাম, বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা, সদরের সকল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টরবৃন্দ যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম
পলাশ, আবুল কালাম আজাদ, নান্নু খান, এনায়েত হোসেন, জামিরুল ইসলাম, থানার সেকেন্ড অফিসার মঞ্জুরুল হক ভূইয়া প্রমুখ। পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধি ঐক্যবদ্ধভাবে বগুড়া থেকে চাঁদাবাজ নির্মূলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সদর ওসি হুমায়ুন কবীর সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
।