নাটোরের বড়াইগ্রামে করোনা পরিস্থিতির কারণে পোল্ট্রি ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ও এর ফলে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছে পিটার কস্তা (৪২)। সোমবার ভোরে উপজেলার জোনাইল পারবোর্ণী গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পিটার ওই গ্রামের মৃত শিমন কস্তার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিটার কস্তা জোনাইল বাজার এলাকার বিভিন্ন সুদি মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা করছিলো। পোল্ট্রি ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ধীরে ধীরে তার ঋণ দাঁড়ায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এতো টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন এই নিয়ে গত কয়েকদিন পিটার এলোমেলো আচরণ করতে থাকে। অবশেষে সোমবার ভোররাতে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে পিটার কস্তা ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।