অবশেষে চালু হতে চলেছে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর প্রকল্পের সম্ভার্ব্যতা যাচাই বাছাই শেষে অতিদ্রুত বন্দরের কাজ শুরু করার আশ্বাস রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি

শিমুল দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশি অংশে ৪ লেনের বাড়তি রেলপথ তৈরির প্রকল্পের সম্ভার্ব্যতা যাচাই বাছাইসহ বিরল স্থল বন্দরের আধুনিকায়নের কাজ অতিদ্রুত শুরু করা হবে। তিনি বলেন, আমরা অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সুবিধাসহ সকল ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার সকালে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরের স্থান পরির্দশন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ
চৌধুরী এমপি। পরিদর্শন শেষে বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এবং বিরল পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান কালে উপরোক্ত আশ্বাস প্রদান করে বন্দরটি অতিদ্রুত চালুর বিষয়ে প্রতিশ্রতি পুর্নব্যক্ত করেন রেল এবং নৌ পরিবহন
মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী।
ব্রিটিশ এবং পরবর্তী সময়ে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে পন্য এবং যাত্রী পরিবহন করা হত প্রতিবেশী
দেশগুলোর মধ্যে। ২০০৫ সালে ভারতীয় এলাকায় রেলপথ ব্রডগ্রেজে রূপান্তর করা
হলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। লাভজনক ওই রেলপথে আবারো ৪ দেশিও ব্যবসা
বানিজ্য সম্প্রসারনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শিপের আওতায় ২৫ বছরের
জন্য বিরল স্থল বন্দর লিমিটেডের নামে একটি বেসরকারি অপারেটরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০০৬ সালে। এজন্য অবকাঠামো তৈরিতে সাড়ে ১৭ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে ওই সময়ে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে ১৪
বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু করা যায়নি বন্দরের কার্যক্রম। তবে ইতমধ্যে ১৩শত
কোটি টাকা ব্যয়ে মিটার গেজ রেলপথ ডুয়েল গেজে রূপান্তরের পাশাপাশি আধুনিকায়ক করা হয়েছে রেলপথসহ বিভিন্ন রেলওয়ে ষ্টেশন। জটিলতা কাটিয়ে অচিরেই পূর্নাঙ্গ স্থল বন্দর চালুর সরকারি প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধরী এমপি। অবশেষে চালু হতে চলেছে দিনাজপুর বিরলের র্পূনাঙ্গ স্থলবন্দর। পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর হয়ে ভারত নেপাল এবং ভূটানের সাথে ৪ দেশের মধ্যে সরাসরি পন্য আমদানি রফতানির পাশাপাশি যাত্রীও পরিবহন করা যাবে রেলপথ এবং সড়ক পথে।
এতে সরকারি রাজস্ব আদায় এবং ভাড়া বাবদ রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি ছাড়াও সময় এবং পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমে আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। বিরল স্থল বন্দর চালু হলে ওই এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে ৪ দেশের ব্যবসা বাণিজ্য।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো: মাহমুদুল আলম,পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সা:সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী,যুগ্ম সা: সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল,বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক রমা কান্ত রায়,বিরল ল্যান্ড র্পোট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন
পরিচালক ইকবাল চৌধুরী ও মাখদুম চৌধুরী প্রমুখ।