আষাঢ়ের বৃষ্টিতে রোপা আমন জমি চাষে মহা ব্যস্ত রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকরা

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণের জন্য চলছে জমি চাষের কাজ। এসময় কেউ পাওয়ার টিলার আবার কেউ ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে জমি চাষে মহা ব্যাস্ত সময় পার করছে। অন্যদিকে যে এলাকায় আলু চাষ হয়না বা উঁচু এলাকার জমিগুলোতে রোপা আমনের চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছে কৃষকরা। এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান রোপণের জন্য আগাম প্রস্তুত নিয়ে থাকেন। আষাঢ়ের বৃষ্টির আগেই শুখনো জমিতে তারা চাষ দিয়ে রাখেন। কারন বৃষ্টির পানি হলেই যেন ধান রোপণ করা যায়। এছাড়াও এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মাঠে এখন জমি চাষে চরম ব্যাস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষকরা জানান আলুর জমির ধান কাটা মাড়ায়ের পর এখন ট্র্যাক্টর দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। এক বিঘা জমিতে চারটি করে ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে চাষ দিতে হচ্ছে। তবে দু একটি চাষ দিয়ে দুএক দিন রাখতে হচ্ছে। কারন আলুর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। শ্রমিকরা ধানের মাথা কেটে ভুত মেশিনে মাড়াই করতে হয়েছে। ধানের মাথা কাটার জন্য স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে লাড়া বা( ন্যাড়া) বড় হয়ে থাকার কারনে এক দুটি চাষ দিয়ে কয়েকদিন রাখতে হয়।যার কারন সেই লাড়া বা (ন্যাড়া) পচে না যাওয়া পর্যন্ত জমি রোপন করা যায়না। তিনি আরো জানান এবারে সিন্দুকাই মাঠে ১৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হবে। একই মাঠে হালিমের ২০বিঘা, জসিমের ৩০বিঘা, মিলনের ৩০বিঘা, হামেদের ৫০ বিঘা, আব্বাসের ২০ বিঘা, হাসেনের ১৫বিঘাসহ পুরো আবাদি জমিতে চলছে চাষের কাজ। সবাই এখন চাষ দিয়ে জমি রোপণের জন্য প্রস্তুত করছে। এক বিঘা জমিতে চারটি করে চাষ ও সমতলের জন্য মই দেয়ার কারনে ১৪০০ টাকা খরচ হবে। পাওয়ার টিলার চালক আশরাফুলের সাথে জমি চাষরত অবস্থায় কথা হয় তিনি জানান নিজের আট বিঘা জমিসহ, হাজী শাহজাহানের ৮বিঘা, মহির উদ্দিনের ৭বিঘা, টিপু সুলতানের ৮বিঘা, রফিকের ২০ বিঘা, নুরু সরদারের ২০ বিঘা ও গফর সরদারের ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হবে। এসব জমিতে আলুর চাষ না হবার কারনে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা হচ্ছে। তবে সবার আংশিক জমি চাষ হয়েছে। সকাল থেকে রাত্রি ৮/৯ টা পর্যন্ত চলে জমি চাষের কাজ। তবে সেচের ব্যবস্থা ব্যাপক হারে থাকার কারনে রাজশাহীর অঞ্চল জুড়েই হয় বোরো ধানের চাষাবাদ। আর এবার আমন চাষিরা সময়মত বৃষ্টির পানি পেয়ে কোন ধরনের সময় নষ্ট না করে জমি চাষের কাজে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্রমিকসহ কৃষকদের দম ফেলার সময় নেই। কারন বৃষ্টির পানি জমিতে থাকা অবস্থায় ধানের চারা রোপণের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন তরা।