ডাকাতি প্রতিরোধে আপনাদের এলাকাবাসীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সার্বিক তত্তাবধানে ও ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অায়োজনে ভাটি কাপাসিয়া কাজিয়ার চরে দারুল আরকান এবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে চুরি, ডাকাতি, মাদক নিয়ন্ত্রণে ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধন ও জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। তিনি আরো বলেন, বন্যা মৌসুমে এলাকায় ডাকাতি বেড়ে যায়। তারা জামালপুর জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকাযোগে এই এলাকায় ডাকাতি করতে আসে। এই এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে কোন দুষ্কৃতকারী বা কেউ ঢুকে যেন প্রসঙ্গিত হতে না পেরে সে জন্য এই চরে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডাকাতদের গতিবিধি লক্ষ্য করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় কেউ চুরি, ডাকাতি করলে দোষীদের নিজ বাসা থেকে ধরে এনে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ জনবান্ধব। মানুষের সুখে দুখে পুলিশ কাজ করে থাকে। নিজেকে সচেতন হতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। সন্তানরা কে কোথায় যায় সে বিষয়ে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিকূলতার মদ্ধে মানুষ হলে সে সন্তানরা শক্তিশালী হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান, তদন্ত অফিসার বুলবুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার প্রমূখ। এ সময় ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিস্টারসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য- সদস্যাবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে ২ হাজার শিশুদের মাঝে খাবার হিসেবে বিস্কুট, পাউরুটি, ডিম বিতরণ করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।