যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাদ আলীর স্ত্রী পারভিন বেগম (২৬)’র বিরুদ্ধে ‘মাদক সেবন ও খারাপ কর্মকান্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দশদল গ্রাম পঞ্চায়েত ও এলাকাবাসী পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) প্রদান করা স্বারকলিপিতে এলাকার ১২৮ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। তার (পারভিন) অবৈধ কর্মকান্ডে অতিষ্ট গ্রাম ও এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দ্রুত এসব অপকর্মের প্রতিকার চেয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) বরাবরে এর অনুলিপিও প্রদান করা হয়েছে।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবাসী ছাদ আলী যুক্তরাজ্যে বসবাস করার সুবাধে তার স্ত্রী পারভিন বেগম দশদল গ্রামে বসবাস করছেন। উক্ত পারভীন বেগম প্রতিনিয়িত মদ-গাঁজা, আফিমসহ নানান ধরনের মাদক সেবন ও খারাপ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় তার বাড়িতে প্রতিনিয়ত খারাপ প্রকৃতির লোকজনের অবাধে চলাফেরা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গ্রামের কেউ পারভীন বেগম ও তার পরিবারকে এসব কার্যকলাপে বাঁধা-নিষেধ করলে সে (পারভীন) গ্রামের নিরীহ শান্তিপ্রিয় লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করে এবং গ্রামের অনেক মানুষকে জেল হাজতেও প্রেরণ করে হয়রাণী করেছে। অনেক সময় দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। সে (পারভীন) গ্রামের কিশোর-যুবক বয়সের ছেলেদেরকে প্রেমের প্রলোভনে ফেলে তাদেরকে নেশার দিকে ধাবিত করে তাদের জীবন নষ্ট করার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তার (পারভীন) বাড়িতে এসে গ্রামের ও শহরের নানান ধরনের লোকজনের নেশা করা এবং খারাপ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকাসহ পারভীন বেগমের অশ্লীল চলাফেরা ও খারাপ ব্যবহারে গ্রামবাসী অতিষ্ট হয়ে এর প্রতিকারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত তথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারের স্মরণাপন্ন হন। কিন্তু প্রবাসী ছাদ আলীর স্ত্রী পারভিন বেগম কারও (চেয়ারম্যান-মেম্বার) কোন কথা মান্য করেন নাই বরং আরো খারাপ ভাবে চলাফেরা করে চলাফেরা করে আসছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাই নিরুপায় হয়ে গ্রাম্য পঞ্চায়েতগণ এর সুষ্ট প্রতিকার পেতেই সিলেট জেলার পুলিশ সুপারের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন দশদল গ্রাম পঞ্চায়েত ও এলাকাবাসী।এব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাদ আলীর স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, সম্প্রতি আমার ও আমার মায়ের উপর হামলা হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করি। মামলায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আমার বাড়িতে থাকা মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের ভয়ে আমি আজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছি। গ্রাম পঞ্চায়েত বিষয়টি আপোষে শেষ করতে চেয়ে ছিলেন, আর আমরা বিচার না মানায় গ্রামবাসীসহ মুরব্বীরা স্বাক্ষর দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যের স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি খারাপ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে থানায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকতো। কিন্তু তা নেই।