ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীর পুনর্গঠনের জন্য অর্থ দিতে ইসরায়েলকে করতে বাধ্য করা উচিত বলে মনে করেন সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল।
সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ এই কূটনীতিক দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা এবং ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি মনে করেন, ইসরায়েল বারবার গাজা শহর ধ্বংস করেছে।
আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রোগ্রাম ‘ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং’-এ উপস্থিত হয়ে প্রিন্স তুর্কি বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছি যে, শুধু গাজায় নয়, পশ্চিম তীরের পুনর্গঠনের জন্যও তহবিল থাকা উচিত। ইসরায়েলকে সেই তহবিলে অর্থ দিতে বাধ্য করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা যখনই গাজা বা পশ্চিম তীর পুনর্গঠন করব, তখন ইসরায়েল এসে সেগুলো ভেঙে ফেলবে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে এই পরিস্থিতির একটি চূড়ান্ত সমাধান করতে হবে।
প্রিন্স তুর্কি বলেন, ভবিষ্যতে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে যেন পুনর্গঠন প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ না হয়, তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে কেবল গাজা নয়, পুরো ফিলিস্তিনে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, যা কিছু পুনর্গঠিত হবে তা একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন সংগ্রাম শেষ হয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, নেতানিয়াহু সরকার গাজায় যা করেছিল, পশ্চিম তীরে একই কাজ করছে। তারা পশ্চিম তীরে লোকজনকে উচ্ছেদ করছে, সেখানকার কিছু শরণার্থী শিবির খালি করছে এবং বাসিন্দাদের জোর করে বের করে দিচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা এক ধরনের জাতিগত নিধন। তারপরও ইসরায়েল পার পেয়ে যাচ্ছে এবং কেউই, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এর নিন্দা করে না।