উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং অবিরাম বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বসতবাড়িসহ ডুবে গেছে উঠতি তোষাপাট এবং নানাবিধ ফসলের ক্ষেত। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চরে কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। রোববার বিকাল হতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত ৪৮ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। হরিপুর চরের কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, গত মঙ্গলবার সকালে তার ঘরের ভিতরে হাটু পানি উঠছে। এছাড়া তার ৩ বিঘা জমির তোষাপাট এবং ১ বিঘা জমির বাদাম ক্ষেত ডুবে গেছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তাঁর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৮ পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টায় হাজার হাজার পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়বে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, গত ৪৮ ঘন্টায় ৬ একর জমির তোষাপাট ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, গত মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার খুব কাছাকাছি। তবে এখন পর্যন্ত পানিবন্ধি পরিবারের তালিকা নিরুপন করা হয়নি।