ভারতের সাবেক মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে দুইবার ভুল আউট দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জ্যামাইকার আম্পায়ার স্টিভ বাকনার।
১১ বছর আগে ক্রিকেটে আম্পায়ারিং পেশা থেকে অবসর নেন বর্তমানে ৭৪ বছর বয়সী বাকনার। ক্রিকেট থেকে সরে যাবার দীর্ঘদিন পর নিজের ভুল স্বীকার করলেন এক সময়ের বিখ্যাত এই আম্পায়ার।
স্থানীয় একটি রেডিওতে সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার প্রসঙ্গ আসতেই বাকনার পুরনো স্মৃতির ভান্ডার খুলে বসেন। তিনি জানান, টেন্ডুলকারকে দুইবার ভুল আউট দিয়েছিলেন। একবার ২০০৩ সালের গাব্বা টেস্টে। আর একবার ২০০৫ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
বাকনার বলেন, আমার আম্পায়ারিং জীবনে টেন্ডুলকারকে দুইবার ভুল আউট দিয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার গাব্বায় জেসন গিলেস্পির বল টেন্ডুলকারের পায়ে লাগায় এলবিডব্লু দিয়েছিলাম। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল উইকেটের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল।
দ্বিতীয়বার ভারতের ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের আবদুর রজ্জাকের বলে টেন্ডুলকারকে আউট দিয়েছিলেন। কট বিহাইন্ডের সেই সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। বল ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে যায়। ইডেনে খেলা থাকলে এবং ভারত ব্যাট করলে কিছুই শুনতে পাওয়া যায় না। কারণ এক লক্ষ দর্শক চিৎকার করতে থাকে। আর ঐদিন মনে হয় আরও বেশি দর্শক মাঠে ছিলো। শুনতে না পেয়ে টেন্ডুলকারকে সেদিন ভুল আউট দিয়েছিলাম। পরে নিজেরই খারাপ লেগেছিল। তবে মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমি তো ইচ্ছা করে ভুল আউট দেয়নি।
আম্পায়ার হিসেব এক সময়ে দারুন সুনাম ছিল বাকনারের। তার সময়ে বেশ সর্র্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হতো। কেননা সময় প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না। নিজের বিচারবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার উপরে সিদ্বান্ত নিতে হতো আম্পায়ারদের।
বর্তমান যুগের মতো হলে যেকোন সিদ্বান্ত নিতে খুব বেশি চিন্তা করতে হতো না বলে জানান বাকনার। তিনি বলেন, ঐ সময় প্রযুক্তির ব্যবহার কম ছিলো। শুধুমাত্র রান আউট বা স্টাম্পিংএর সিদ্বান্ত টিভিতে নেয়া যেত। কিন্তু এখন অনেক সিদ্বান্তই প্রযুক্তির মাধ্যমে নেয়া যায়। ঐ সময় প্রযুক্তি থাকলে, সিদ্বান্ত নিতে এত চিন্তা-ভাবনা করতে হতো না।