লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে স্বামী আদিকুল ইসলাম(৩৫) তার চাচাতো ভাই কে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ কে পুলিশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। শনিবার তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় ওই গ্রহবধু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লম্পট ও ধর্ষককে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের রজবপাড়া(৪নং ওয়ার্ড) গ্রামের জলিল মিয়ার পুত্র সাদিকুল ইসলাম(৩৫) এর সাথে কয়েক বছর আগে ওই গৃহবধুর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে। গত ১৪ জুন রাতে স্বামী তার চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করায়। ধর্ষক সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের রশিদের পুত্র। ধর্ষক ওই গৃহবধুর স্বামীর কাছে কিছু অর্থ পাওনা ছিল। স্ত্রীর সাথে রাত কাটাতে দিলে ঋন শোধ। এই কু প্রস্তাবে সাড়া স্বামী দেয়ায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা ধর্ষিতা গৃহবধু জানান, ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় স্বামী মুখ চেপে ধর্ষককে সহায়তা করেছে। এ ঘটনা ফাঁস করলে তাকে তালাক ও মেরে ফেলার হুমকী দেয় ধর্ষক ও তার স্বামী। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ধর্ষিতা ঘটনাটি প্রতিবেশিদের জানায়। এই ঘটনা ধর্ষিতা,স্বজন ও প্রতিবেশিরা পুলিশকে জানায়নি। তবে বিস্তারিত বর্ণনা ও বিচার দাবী করে ১৮ জুন ফেসবুকে অননুমোদিত অনলাইন টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করে। ভিডিওটি মুহুর্তে নেটিজানদের কাছে ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি সম্পর্কে আদিতমারী থানার অফিসার ইনর্চাজ ও এসপি আবিদা সুলতানা জানাতে পারে। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ এবং নারী শিশু নির্যাতন ও দমন আইনে মামলা দায়ের করে। ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করাতে বৃহস্পতিবার রাতেই লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান ভিকটিম, স্বজন ও প্রতিবেশি কেউ বিষয়টি সম্পর্কে থানা পুলিশকে অবগত করেনি। অথচ কোন বিশেষ উদেশ্যে কুরুচিপূর্ণ ভাবে ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করেছে। কারণ সেখানে গৃহবধুর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। সেটাও আইসিটি আইনে অপরাধ। ভিকটিম ও স্বজনরা মর্যাদাহানির মামলা করতে পারে। এদিকে পুলিশ ঘটনাটা সম্পর্কে জেনেই গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানায় মামলা নিয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।