দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে নোভেল করোনা কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু মানা হচ্ছে না সরকারি আদশ ও সামাজিক দুরত্ব। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারি, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সাধারণ মানুষজন করোনা আক্রান্ত থেকে বাদ পরেনি। আক্রান্তদের মাধ্যমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার আনাছে-কানাছে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা রোগির সংখ্যা। সরকারি বিধি নিষেধ এবং সামাজিক দুরত্ব মানছে না সকল স্তরের মানুষজন। সরেজমিন বিভিন্ন হাট বাজার অফিস আদালত, ব্যাংক বীমা, অলি গলি, রাস্তাঘাট, হোটেল, খেয়াঘাট, যানবাহন, দোকানপাটে গিয়ে দেখা গেছে শতকরা ৪০ জন জনসাধারণের মুখে মাস্ক নেই, একজন অপর জনের সাথে গাঁ-ঘেসে চলাফেরা করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৪ জন করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও গৃহবধূ। পৌর জাপার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু জানান, করোনার হাত থেকে উপজেলাবাসিকে রক্ষা এবং করোনা রোগির সংখ্যা যাতে করে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মোকাবেলা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি, মাতাববর ও সুধীজনকে একসাথে মিলে কাজ করতে। তা না হলে সমাজ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সমন্বয়ে সম্ভব সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন ও সামাজিক দুরস্ত বজায় রাখা। তিনি বলেন যে হারে আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে উপজেলার মানুষের বড় ক্ষতি হবে। এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ।