ঈশ্বরদীর পাকশীর দিয়াড় বাঘইলে দু’টি বাড়িতে শ্বাসরুদ্ধকর বোমা স্থাপন করে আতংক সৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে কাফনের কাপড় রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে দিয়াড় বাঘইলের আকমল হোসেন বাবু প্রামাণিকের বাড়ির দরজার সামনে কে বা কারা কাফনের কাপড়, গোলাপজল, আগরবাতি ও নতুন একটি গামছা দুর্বৃত্তরা রেখে যায়। কাফনের কাপড়ের উপর লাল কালিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে। সোমবার সকালে এগুলো বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়। কাফনের উপর লেখা চিঠিতে বাড়ির মালিক আকমল হোসেন বাবু’র একমাত্র ছেলে টনিক এবং টনিকের চাচাতো ভাই স্বরনকে হত্যা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে দরজার সামনে এসব দেখতে পেয়ে এলাকার ইউপি সদস্য রেজাউল করিম নান্টুকে খবর দেন। এঘটনায় বাড়ির মালিক ও এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঈশ^রদী থানাকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উৎসুক লোকজন ওই বাড়িতে এগুলো দেখার জন্য ব্যাপক ভীড় করেছে। ইউপি সদস্য রেজাউল আলম নান্টু জানান, জিনিসগুলো থানায় জমা থানায় জমা দেবার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করবে। বারবার এলাকায় এ ধরনের অনাকাঙ্খিত যে ঘটনা ঘটছে তা দুঃখজনক বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল রাতে আকমল হোসেন বাবুর বাড়ি এবং তার সামনের বাড়ি শফিকুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়িতে দু’টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু কে বা কারা রেখে যায়। পাকশী ফাঁড়ি পুলিশ, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ, পাবনা জেলা পুলিশ, র্যাব, ডিবি, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসেও সেটি নিস্ক্রিয় করতে ব্যার্থ হয়। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয় বিশেষ টিম এসে তা নিস্ক্রিয় করে। এই খবর ওইদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এর আগে গত বছর শফিকুল ইসলাম ও পার্শ্ববর্তী রেজানুর রহমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি দেয়া হয়। একের পরে পর এসব ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।