কদম না ফুটলে যেন বৃষ্টি ঝরে না! গাছে কদম ফুটেছে রিমঝিম বৃষ্টিতে থৈ,থৈ চারিধার। আষাঢ় এসেছে। জ্যৈষ্ঠের তীব্র তাপদাহে তপ্ত দেহ-মনে স্বস্তির ছোয়া নিয়ে আবারও আয়াঢ় এসেছে। বাংলা সনের এ মাসটির সাথে প্রকৃতির যেন নিবিড় সম্পর্ক। কদম ছাড়া আষাঢ় যেন কল্পনাই করা যায় না। আষাঢ়কে বরণ করতে কদম ছাড়া না চললেও এমন একদিন হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে যে দিন কদম ছাড়াই আমাদের মাঝে আষাঢ় আসবে। কদম এখন একটি দুর্লভ ফুলের নাম! যে কদমকে নিয়ে এতো কিছু আষাঢ়ের বার্তা বাহক সেই প্রিয় কদম ফুলের কদম গাছ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। কোথাও এখন আর আগের মতো কদম গাছ চোখে পড়ে না। দেশে এক সময় আষাঢ়ের পুরো সময়টা কদম গাছ ফুলে,ফুলে ভরে থাকতো। সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ তা দেখে তৃপ্ত হতেন। বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার দু’পাশে কদম গাছ ছিল চোখে পড়ার মতো। গ্রামের শিশু-কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো। মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিতো । সেই কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে! লাভের অঙ্কের হিসেব মিলাতে মানুষ আর কদম গাছ লাগাতে চাইছে না। কদম গাছের জায়গায় মেহেগুনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপণে ঝুঁকছেন তারা। তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় প্রিয় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে ।