নাটোর জেলা কারাগারে বন্দীদের জন্য প্রতিদিন সরকারি বরাদ্দের ভাত-মাছ-গোশতসহ যেসব খাবার দেয়া হচ্ছে তার মানে এবং পরিমাণে সন্তুষ্ট নন বন্দী হাজতি কয়েদীরা। জেল সুপার আব্দুল বারেক কতিপয় ঠিকাদারের যোগসাজশে অতি নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করে । তাই এ খাবার গ্রহণে বেশির ভাগই অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। ফলে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের অধিকাংশই কারাক্যান্টিন থেকে টাকা দিয়ে দুই থেকে তিনগুন বাড়তি দামে খাবার কিনে খাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর যাদের টাকা নেই তারা একান্ত বাধ্য হয়ে এসব অখাদ্য-কুখাদ্য খেতে বাধ্য হচ্ছে । তারপরেই একজন বন্দীর জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দের পুরোটা দেয়া হচ্ছেনা ।
অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বন্দীদের কাছ থেকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা আদায়ের অনেকগুলো খাতের মধ্যে একটি হলো কারা ক্যান্টিন। টাকা জমা দিয়ে ক্যান্টিন থেকে পছন্দমত খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করেন কারাগারের ভেতরের বন্দীরা।
কিন্তু নাটোর জেলা কারা ক্যান্টিনে যে দামে জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়, আর কোথাও এত দামে জিনিসপত্র বিক্রি হয় না। দাম শুনলে সাধারণ মানুষ অবাক হবেন। পাঁচ থেকে দশগুণ বেশি দামে কারা ক্যান্টিনে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা হয়। এছাড়া বন্দীদের খুবই নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে অর্থ হাতিয়ে নেয় জেল সুপার আব্দুল বারেকসহ কারা কর্তৃপক্ষসহ বন্দীদের কাছ থেকে টাকা আদায়কারী সিন্ডিকেট।
কারাগার থেকে ফেরত আসা লোকজন জানিয়েছেন, ২৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২০০ টাকায়, ২০ টাকার আলু ২০০ টাকা, ৩৫ টাকা হালির ডিম ১৪০ টাকা, ১৫০ টাকার তেলাপিয়া মাছ ৬০০ টাকা, ১৮০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগির মাংস ৭০০ টাকা, ৩০০ টাকার দেশী মুরগি ৮০০ টাকা, ৫০০ টাকার গরুর মাংস ১১০০ টাকা, ডারবি সিগারেট ৬৫ টাকার প্যাকেট ১১০ টাকা, ১২০ টাকার সিগারেট ২০০ টাকা, আকিজ বিড়ি ১৭ টাকার স্থলে ৪০ টাকা, ৪০ টাকার লেবুর হালি ২০০ টাকা, ৮০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা, ৫৫ টাকার চিনি ১১০ টাকা ও ৪০ টাকা কেজির আতপ চাল ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতিদিনই শতশত লোকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে টাকা আদায় করে সেই টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করা হয়।
সম্প্রতি নাটোর জেলা কারাগারে সরেজমিন খোঁজ নিতে গিয়ে কারাগারের বাইরে অপেক্ষমাণ তাদের স্বজনদের সাথে আলাপকালে নাটোর কারাগারে সরকারি খাবার গ্রহণে বন্দীদের অনীহার কথাটি জানা যায়। অতি নিম্নমানের হওয়ায় কারাগারের বন্দীরাও সরকারি বরাদ্দের খাবার ঠিকমতো খেতে পারছেন না বলে কারাগার সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারাসূত্রে জানা যায়, খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে একজন কয়েদি ১১৬ গ্রাম ও হাজতির জন্য ৮৭ গ্রাম আটার রুটি এবং যৎসামান্য সবজিদুপুরে কয়েদির জন্য ২৯১ গ্রাম ও হাজতির জন্য ২৪৭ গ্রাম চালের ভাত, ডাল, সবজি এবং ২৯ গ্রাম ওজনের মাছ অথবা মাংস দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। রাতেও প্রায় একই রকমের মেন্যু। প্রতিমাসে ২০ দিন মাছ এবং ১০ দিন মাংস খাওয়ানোর নিয়ম রয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে আবার ৪ দিন গরু, একদিন খাসি এবং ৫ দিন মুরগির মাংস খাওয়ানোর কথা।
বন্দিদের দাবি, খাবারের এসব মেন্যু তালিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এখানে খাবারের মাপে কম দেওয়াসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। রক্ষীদের নির্যাতনের ভয়ে কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করেন না ।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ বিশেষ দিবসে সকল কারাবন্দীদের জন্য উন্নত মানের খাদ্য দেয়ার কথা থাকলেও নাটোর জেলা কারাগারে তা হয় নামমাত্র।
বাজারের নিম্নমানের সবজী বন্দীদের জন্য মসলা ছাড়াই আধাসেদ্ধ করে দেয়া হয়। যার কারণে দরিদ্র পরিবারের বন্দীরা ছাড়া সবাই অতিরিক্ত মূল্যে কারা ক্যান্টিন থেকে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করেন।
বন্দিরা অভিযোগ করে জানান, সরকার ঘোষিত সপ্তাহে ৩ দিন ভাজি রুটি, ২ দিন হারুয়া রুটি বাকি ২ দিন খিচুড়ির জন্য নির্দেশনা কাগজে কলমে থাকলে বাস্তবে এসব খাওয়ার বন্দিরা পায় না। ২ দিন হারুয়া-রুটির বদলে দেওয়া হচ্ছে একদিন, ২ দিন খিচুড়ি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে একদিন। সপ্তাহে ৩ দিন ভাজি রুটি দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোন বন্দি ভাজি চোখে দেখে না। যা দেওয়া হয় তাতে ভাজির অস্তিত্ব পর্যন্ত থাকে না।
চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা ও ডিআইজি পার্থ বণিক গ্রেফতার হলেও এখনো দাপটে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন নাটোর কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেকসহ তাদের সহযোগিরা। বন্দিদের জন্য বরাদ্দকৃত নাস্তা ও খাওর্য়া বাবদে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মাসে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা সরকারি তহবিল থেকে ঠিকাদারের যোগসাজশে জেলসুপার লুট করে নিচ্ছে।
কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়া হাজতি হাসান জানান, ‘কারাগারে খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ভাত থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তরকারি মুখে নেওয়ার মতো না। মাছ-মাংসও মানসম্পন্ন নয়। যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তারাই নিরুপায় হয়ে ওই খাবার খেয়ে থাকেন। স্বচ্ছল বন্দিরা কারাগারের কেন্টিন থেকে অর্ডার দিয়ে পছন্দের খাবার খান।’
এ প্রসঙ্গে কারাগার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারা অধিদফতর থেকে সরকারি বরাদ্দের দেয়া খাবারের মান সঠিকভাবে যাচাই ও মনিটরিং করে সরবরাহ করা হলে সেই খাবারে বন্দীদের কিছুটা হলেও আগ্রহ বাড়তে পারে। পাশাপাশি কারাগারের ভেতরে কারাক্যান্টিন থেকে যেসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলোর দাম বাজারমূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করার নির্দেশনা কারা অধিদফতর থেকে দেয়া হয় তাহলে অসহায় বন্দীরা কিছুটা হলেও খাবারের কষ্ট থেকে বেঁচে যাবেন।
সম্প্রতি জেলা কারাগারে সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে কারাগারের সামনে অপেক্ষমাণ দু’জন বন্দীর জামিনে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এক নারী এ প্রতিবেদককে বলেন, কারাগারে এক মাস ৫ দিন ধরে আমার স্বামী এবং ভাই সিংড়ায় একটি মারামারির মামলায় কারাগার আটক আছেন। তাদের দু’জনেরই জামিন হয়ে গেছে। সন্ধ্যায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন। তাদের নেয়ার জন্য আমরা পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছি। কারাগারে এ কয়দিন থাকার কারণে কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে আর সরকারিভাবে বন্দীদের যে খাবার দেয়া হচ্ছে তার মান কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। মাছ তরিতরকারি কিনে খেতে হয়। এক প্লেট খিচুড়ি আর একটা সিদ্ধ ডিম। সেটিই মনে হয় ৫০ টাকা প্লেট করে নেয়। সেটা খায় সকাল বেলায়। আর দুপুর বেলা মাছ গোশত যা ভালো লাগে সেটি কিনে খায়। সরকারিভাবে যে খাবার দেয় তা কি খাওয়া যায় না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই খাবার একেবারে নিরামিষ। ডাল দেয়। এ সময় পাশে দাঁড়ানো অপর এক নারী জানান, ডাল একদম পাতলা। পানি ডাল। আর ভাত ‘এত্তো বড় বড়’। বড় বড় মানে জানতে চাইলে বলেন, মোটা মোটা চালের ভাত। এটা খেতে অনেক কষ্ট হয়। বেশির ভাগ দিন শুধু তরকারিই রান্না হয়। আবার শুধু ডালভাত ।মাছ কোনো দিন দেয়, আবার কোনো দিন দেয় না। খাবার দাবার ভালো হয় না। বুঝেন না, সরকারি খাবার তো। অনেক কষ্ট হয় খাবার দাবারে। মাসে কত টাকা খরচ হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসে আমরা যখন দেখা করতে আসি তখন ক্যান্টিন থেকে বিস্কিট, কলা, সিগারেট এখান থেকে কিনে দেই। সাথে পিসি অ্যাকাউন্টে ২০০০-২৫০০ টাকা দিয়ে যাই। সেটা দিয়ে এক সপ্তাহ তারা খায় দু’জনে। নগদ টাকা দিয়ে শুধু তরকারি আর সকাল বেলার নাশতা তারা ভেতরে কিনে খায়। বাকি তেল সাবানসহ সবই আমরা কিনে দেই। যদি ভালো বিছানায় ঘুমাতে চায় তাহলে বেড ভাড়া দিতে হয়। এক মাস পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে আইছি। অনেকবার দেখা করেছি। ভেতরে কী ধরনের কষ্ট হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তারা বলেছেন শুধু খাবারেই কষ্ট বেশি হয়।
কারাগার ফেরত সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের হোসেন বলেন,‘আমি একটা মামলায় ১ মাস ২২ দিন নাটোর জেলা কারাগারে ছিলাম। কারাগারের ভেতরে বন্দীদের যেসব খাবার দেয়া হয় তা খাওয়ার মত নয়। গরিব লোকজন বিপদে পড়ে এসব খাবার খায়। যাদের টাকা আছে তারা ক্যান্টিন থেকে কিনেই খায়। তবে যে চড়া দামে জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় তা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাবে না। ২০-২৫ টাকার জিনিস ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি করে তারা। ১৫০ টাকার তেলাপিয়া মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কারাগারের এসকল অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে কারা কর্তৃপক্ষ জড়িত। ভয়ে কেউ কিছু বলতে চায় না।’
সদ্য কারামুক্ত নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক একজন রাজনৈতিক নেতা জানান, নাটোর কারাগারের ভেতরের অবস্থা খুব খারাপ। ভয়ে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। খাবারের মান খুব বাজে। সকালে সবজি বা সুজি দিয়ে একটা রুটি, দুপুরে আধাসেদ্ধ ডাল ও রাতে পাঙ্গাস মাছের যে তরকারি ও সবজি দেয়া হয় তা খাবারের উপযুক্ত নয়। তাই বাধ্য হয়ে সবাই ক্যান্টিন থেকে ২০ টাকার জিনিস ২০০ টাকা দিয়ে কিনে খায়।’ আমি জেলে যাওয়ার পর ক্যান্টিনে ডিম কিনতে গিয়ে একপিস রান্না করা ডিমের দাম ৪০ টাকা এবং ভাজার দাম ৩০ টাকা । আমি বলেছিলাম বাইরে একটা রান্না বা সেদ্ধ ডিমের ১৫ থেকে ২০ টাকা । আপনি ৫ টাকা বেশি রাখলেও হতো । তাই বলে তিনগুন এটা তো অমানবিক । এই প্রতিবাদ করার জন্য পরের দিন কেসটেবিলে নিয়ে আমাকে সেলে (জেলের মধ্যে জেল) পাঠিয়ে দিলো । ডালের নামে হলুদ পানি দেয় আর মসুরের ডালের বদলে এংকার ডাল দেয় । যা খাওয়ায় অনুোপযুক্ত । কোন বন্দী প্রতিবাদ করার সাহস পায়না ।আমি প্রতিবাদ করেছি আমি পঙ্গু ও অসুস্থ জানার পরও এই জেলসুপার আমাকে তো মেডিকেল দেয়নি বরং মেডিসিন দিতে নিষেধ করেছে ফার্মাসিষ্টকে ।
রিংকু নামের এক তরুণ বলেন,‘আমি ৬ মাস জেলে ছিলাম, একদিনও জেলের দেয়া কিছু খেতে পারিনি। পুরো ৬ মাসই ক্যান্টিন থেকে কিনে খেয়েছি। জেলে খুব নিম্নমানের খাবার দেয়া হয়। যে সবজী ও ডাল দেয়া হয় তা খাওয়া যায় না। প্রতিবাদ করলেও নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তাই কেউ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারোর। ’বলেন,‘কারাগারের ভিতরে খাবারের ক্যান্টিন আছে কিন্তু এতে আলুর কেজি ১০০ টাকা। শীতকালে টমেটো যখন ২০ টাকা কেজি তখন বিক্রি করা হয় ১৫০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ১১০০ টাকা কেজি। এগুলো আবার জেলের কিচেন থেকে চুরি করা সব মাল। আসামিদের খাবারের দৈনিক ডায়েট চার্ট অনুযায়ী আসা সবজি ও মাছ-মাংস ১০ ভাগের দুই ভাগ রান্না করা হয়। আর বাকিগুলো এনে তিনগুণ দামে ক্যান্টিনে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিনের খাবারে কোন একটি শাকের পাতা সবজি হিসেবে দেওয়া হয়। বাদ বাকি পানি। যারা কোন মতে টাকা যোগাড় করতে পারে তারা তিন-চার গুণ দামে কিনে এনে মেস করে খেতে পারে। আর যারা এত টাকা যোগাড় করতে পারে না তাদের জেলের অখাদ্যই খেতে হয়। ’
এ প্রসঙ্গে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মেজর সামছুল হায়দার সিদ্দিকী (অব:) বলেন, কারাগারে সরকারি বরাদ্দের যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে সেটির মান সঠিকভাবে কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দিলে অসহায় বন্দীদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। এতে তারা উন্নতমানের খাবার খেতে পারবেন। কারণ অনেক বন্দীই আছে, যারা পিসির অ্যাকাউন্টে জমা টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার কিনে খেতে পারেন না। শুধু তাই নয়, একই সাথে কারাক্যান্টিন থেকে যেসব পণে বিক্রি হচ্ছে সেগুলোও যাতে বাজারমূল্যে বিক্রি করা হয়, সেটিও কারা অধিদফতর থেকে মনিটরিং হওয়া উচিত। কারণ এটি করা হয়েছে শুধুমাত্র বন্দীদের কল্যাণের জন্য।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, এসব মিথ্য কথা। কারাগারে আগের যে কোন সময়ের চাইতে এখন উন্নত খাবার বন্দিদের দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনোভাবেই কম খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কারাবিধি মোতাবেক দিচ্ছি। এসব অভিযোগ যারা করছে, তারা কারাগারে এসে অবৈধ সুবিধা পাচ্ছে না বলে করছে।