পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও সরকারি আদেশ অমান্য করে লোনের কিস্তি আদায় করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২ জনের জেল এবং ৫ জন জনতা, ৪ জন এনজি কর্মীসহ মোট ৯ জনের জরিমানা করেছে ভ্রামম্যান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান। ভূক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিত্বে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ পৌর শহরের পশ্চিম বাইপাস মোড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার মাঠকর্মী জাহাঙ্গীর আলম, নুর আহম্মদ এবং বাংলাদেশ এডুকেশন এক্সটেনশনের মাঠকর্মী শরিফুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বী মিয়াকে পুলিশ জোর পূর্বক কিস্তি আদায় করার অপরাধে আটক করে। পরে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রামম্যান আদালতের মাধ্যমে ৪ জন এনজিও কর্মীর প্রত্যেককে এক হাজার করে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে গত ৫ জুন উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ফোরকানিয়া বাজারে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিকাল ৪ টার পর দোকান পাট বন্ধ করার আহবান জানালে এএস আই আব্দুর রহমানের সাথে বাজারের ব্যবসায়ী ও জনতার বাকবিতন্ডা এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এনিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ওই বাাজারের ব্যবসায়ী ও ঘটনার সাথে জড়িত স্থানীয় জনতা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে হাজির হলে নিবার্হী অফিসার ভ্রামম্যান আদালত বসিয়ে ২ জনকে ৭ দিনের জেল এবং ৫ জনের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা জরিমানা করে। এদের মধ্যে আকবর আলী, জামিউল ইসলামের ৭ দিনের জেল এবং মোসলিম আলী, লাল মিয়া, আব্দুর রহিম, আব্দুল লতিফ ও শরিফুল ইসলামের ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।