বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: করোনা কাঁটায় মানুষের জীবন বিধস্ত থাকলেও থেমে নেই ব্যতিক্রমী আয়োজন। করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার ৫ শতাধিক নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে যৌগল জীবনে যাত্রা শুরু করলেন সিলেটের বিশ্বনাথ ডেফোডিল এসোসিয়েশনের সভাপতি, বিশ্বনাথ বন্ধুসভার যুগ্ন সম্পাদক ও বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির কমিশনার এমদাদ হোসেন নাঈম।করোনা প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সময়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরবন্দি থাকাটাই শ্রেয়, আর আনুষ্ঠানিকতার সাথে বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ কিছু প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা। তার তাই সব নিয়মবিধি মেনেই আজ (১০ জুন) বুধবার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব ছাড়াই শুধুমাত্র নিজের ও কনের পরিবারের গুটি কয়েক সদস্যদের নিয়েই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠিকতা শেষ করেন সংগঠক নাঈম। কিন্তু বিয়ে উপলক্ষ্যে খাবারের আনুষ্ঠিকতায় কমতি ছিলনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন বাজারের টিএনটি রোড়ের বাসিন্দা এমদাদ হোসেন নাঈম’র। এলাকার ৫শতাধিক মানুষের জন্য আয়োজন করা খাবার বন্টনেও ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেন এই সংগঠক। বুধবার বরের সাজে সেজে ছোট ভাই ফাহিম আহমদকে সাথে নিয়ে বিশ্বনাথ নতুন বাজার টিএনটি রোড়ের ১৫-২০ কলোনীসহ এলাকার প্রায় ৫শ নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের বাসায় বাসায় গিয়ে খাবার পৌঁছে দেন তিনি। করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ দৈনিক জীবন। সারা বিশ্ব এখন গৃহবন্দি। কেউ জানে না কাল কি হতে চলেছে। যার যত পরিরল্পনা ছিল সবই আপাতত শিকেয় উঠেছে। আগে পৃথিবী বাঁচুক, আগে মানুষ বাঁচুক। এটুকুই এখন সবার চাওয়া। নতুন একটা ভোরের অপেক্ষায় সকলেই। তাই বলে কি সব স্বপ্ন হারিয়ে যাবে? তাইতো নাঈমের মতো মানুষজন স্বপ্নও বুনছেন। তবে, তা একটু অন্যভাবে। এই সংকটকালীন সময়ে নাঈমের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের জন্য বন্ধুমহলসহ সচেতন মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।এব্যাপারে সংগঠক নাঈমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিয়েতো জীবনে একবারই। বিয়েতে অনেক কিছু করার কথা ছিলো। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়ে আনন্দ করার কথা ছিলো। কিন্তু করোনার এই সংকটকালীন সময়ে কিছুই করা যায়নি। কাউকে দাওয়াত না দিয়ে একাই বিয়ের আনুষ্ঠিকতা শেষ করতে হলো। তাই অন্যভাবে বিয়ের আনন্দ উপভোগ করা।