পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পল্লী বিদ্যুতের একটি প্রকল্পে কাজ করতে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন কর্মচারী। তিনি এক সপ্তাহ আগে একই প্রকল্পের আরও ৫ জন কর্মচারীর সাথে ভাঙ্গুড়া আসেন। বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত ঐ কর্মচারীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। তবে বর্তমানে তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ার একটি বাসায় অবস্থান করছেন।
সূত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুতের একটি প্রকল্পে কাজ করতে গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে ছয় সদস্যের একটি দল ভাঙ্গুড়ায় আসে। ভাঙ্গুড়ায় এসে তারা পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ার একটি ভাড়াটিয়া বাসায় ওঠেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেন। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর আজ বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ছয়জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এতে ওই প্রকল্পের একজন কর্মচারীর করোনা শনাক্ত হয়।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের একটি প্রজেক্টে ঢাকা থেকে ৬ জন লোক কাজ করতে ভাঙ্গুড়ায় আসেন। আমি খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি তাদের মধ্যে একজন জ্বরে আক্রান্ত। তখন সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে করোনা পরীক্ষা করতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে একজনের করোনা শনাক্ত হয়।’
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়রের তৎপরতায় করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। কেননা ভাঙ্গুড়ার বাইরে থেকে আসা লোকজন আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়র নিজ উদ্যোগে বাহির থেকে আসা প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো জানান, ভাঙ্গুড়ায় আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাইরে থেকে আসা। এদের অধিকাংশেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পৌর মেয়রের তথ্যমতে।