কমলগঞ্জ উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের
কালীপুর গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ২জন আহত হয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২২ মে দুপুর ২টার দিকে কালীপুর গ্রামের আনিছ খা’র নামীয় ভুমিতে একই এলাকার মৃত আব্দুস ছায়াদের পুত্র কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্স এর হেলথ প্রোপাইটার হিসেবে কর্মরত রুহুল আমিনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্র নিয়ে একদল লোক উক্ত ভুমিতে কচুরিপানা কাটিয়া পুকুরে মাছ ধরতে থাকে এবং রোপনকৃত জমির
ধানের চারা উপড়াইয়া ফেলতে দেখে আনিছ খা’র পুত্র আব্দুল আজিজ বাধা প্রদান করলে রুহুল আমিন গংরা মিলে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। তার স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করা হয়। নারীদের শ্লীলতা হানী করা হয়।
হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, আব্দুল আজিজ ও সুহানা বেগম। নগদ টাকা, স্বর্নের চেইন, মোবাইল, পুকুরের মাছ, বাশ কাটিয়া এবং জমির ধানের
চারা উপড়াইয়া ফেলিয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এঘটনায় আনিছ খা’র পুত্র আবুল কালাম বাদী হয়ে গত ২৭মে কমলগঞ্জ থানায় একটি
মামলা দায়ের করেন, কমলগঞ্জ থানার মামলা নং-/১৫,জি আর/৮৭/২০২০খ্রি:। মামলার আসামীরা হলেন, মো: রুহুল আমিন,পিতা: মৃত আব্দুস ছায়াদ,
জসিম উদ্দিন,পিতা; মৃত বাহার উদ্দিন, নুরুল আমিন, পিতা: মৃত আব্দুস ছায়াদ, নিপা বেগম, পিতা: মৃত আব্দুস ছায়াদ, পারভীন বেগম, স্বামী
জসিম উদ্দিন, হাজেরা বেগম, স্বামী রুহুল আমিন, সর্বসাং কালীপুর, আলিনগর ইউনিয়ন, থানা: কমলগঞ্জ, জেলা: মৌলভীবাজারসহ অজ্ঞাতনামা
৫/৬জন। মামলার বাদী আবুল কালাম এপ্রতিবেদককে জানান, তিনি হুমকির
মাঝে রয়েছেন মামলা তুলে নিতে তাকে প্রতিনিয়ত রহুল আমিন গংরা হুমকি ধমকি প্রদান করা হচ্ছে এবং তার ভাই আব্দুল আজিজের অবস্থা ভাল না।
দায়ের ছেদে এখনো তিনি সুস্থ না, প্রায় সময় অজ্ঞান হয়ে যান। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে আমার ও আমার চাচার
পরিবারকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বেন বলে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এব্যাপারে রুহুল আমিনকে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।