বগুড়া শহরের থানা মোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ভ্যান চালক মোঃ সালামত (৫৫) অবশেষে মারা গেলেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে শনিবার রাতে সে অসুস্থ হলেও কেউ এগিয়ে যায়নি। অবশেষে সে মারা
গেলে রোববার সকালে বগুড়া সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সারারাত রাস্তায় অজ্ঞাতভাবে কেউ পরে আছে এমন খবর পেয়েই সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সদর থানার এস.আই খোরশেদ আলম রবি এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স।
করোনা আতঙ্কে কেউ কাছে ঘেঁষে নি সড়কে পরে থাকা সেই নিথর দেহের কাছে অবশেষে এস.আই খোরশেদ সেই লাশ উদ্ধার করেন এবং শজিমেকে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠান।
এসময় এস.আই খোরশেদের সাথে কথা বললে তিনি মৃত সালামতের ছেলে শহিদুলের সাথে কথা বলার প্রেক্ষিতে জানান, মৃত মোঃ সালামত শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান পূর্ব পাড়ার মৃত: পরী সোনার পুত্র। তিনি পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন এবং শহরের
একটি তরমুজের আড়তে কাজ করতেন। সেই সাথে তার মৃত্যুর ব্যাপারে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মৃত: সালামতের দীর্ঘদিন ধরেই শ^াসকষ্টের সমস্যা ছিল। এছাড়াও তার শরীরে কোন যখমের চিহ্নও পাওয়া যায়নি
প্রাথমিকভাবে শ^াসকষ্টের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সদর থানার পাশেই এইভাবে সারারাত একজন মানুষ পরে থেকে অবশেষে মৃত্যুর কোলে
ঢোলে পরার বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শুনেছি তিনি রাত থেকে অসুস্থ হয়ে কাঠালতলায় ছিলেন। অনেক মানুষ দেখলেও নিজেরা কিছু করেনি। যদি সময়মতো আমাদের
জানানো হতো তাহলে আমরা সালামতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নিতাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেন দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলেও করোনার ভয়ে কেউ
কাছে যায়নি। পরে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরাও থানায় এসেছে লাশের ময়না তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যেহেতু করোনার মাঝেই এভাবে শ^াসকষ্ট নিয়ে রাস্তায় অনাকাঙ্খিতভাবে সালামতের মৃত্যু হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে কি না জানতে চাইলে
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ময়নাতদন্তে তার করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে অবশ্যই তার করোনা পরীক্ষা করা হবে।