পাবনার চাটমোহরের বহুল আলোচিত ২২ ফিট দীর্ঘ রকেট ঘুড়িটা নতুন আলোচনার-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। আমাদের সিরাজগঞ্জ নামক একটি ফেসবুক গ্রæপ পেজে চাটমোহরের কাটাখালী গ্রামের আনিছুর রহমানের ঘুড়িটির ছবি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকার বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইমতিয়াজ মুহাম্মদ সুমন নামক জনৈক ব্যক্তি আমাদের সিরাজগঞ্জ গ্রæপ পেজে ৬ জুন রাত আট টায় আনিছুর রহমানের ঘুড়িটি তাদের এলাকার বলে উল্লেখ করে ছবি পোষ্ট করেন। পোষ্টটি চাটমোহরবাসীর দৃষ্টিগোচর হবার পর চাটমোহরবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ঘুড়ির এলাকা ভিত্তিক মালিকানা দাবীর এমন হীন প্রচেষ্টা সম্ভবত এই প্রথম।
চাটমোহরের আনিছুর রহমানের ঘুড়িটি নিয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক ইত্তেফাক, আমাদের বড়াল, স্বাধীন খবর, অনাবিল ডট নেট, ফোকাস বিডি টোয়েন্টি ফোর, এফ এন এস টোয়েন্টি ফোরসহ আরো অনেক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ঘুড়িটির প্রকৃত মালিক আনিছুর রহমান জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘুড়ি উড়ানো যায় বলে হাজার হাজার মানুষ ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে প্রত্যহ আনন্দ উপভোগ করছেন। আমি, আমার ব্যবসায়িক পার্টনার মজিবর ও আসাদুল এলাকার সেন্টুসহ আরো ছয়জন মোট ১০ জন মিলে পুরো চারদিনে ঘুড়িটি তৈরী করি। নকশা করতে আরো কয়েক দিন লেগে যায়। ঘুড়িটি তৈরী করতে দুইটি বাঁশ লেগেছে। বাশের শলাকা শুকিয়ে ঘুড়ি তৈরী করে মোটা পলিথিন দিয়ে ছাউনি দিয়েছি। ঘুড়িটির ওজন প্রায় ২০ কেজি। ঘুড়ি উড়ানোর সময় দশ জন মিলে রশি ধরে রাখতে হয় এবং দশ জন মিলে আলতো করে ধরে শূণ্যে উঠিয়ে দিতে হয়। শ্রমিক খরচ ছাড়াও এক হাজার চারশত টাকার রশি, আটশ টাকার পলিথিন, পাঁচশ টাকার বাঁশ এবং তিনশ টাকার ফুল নকশা লেগেছে এ ঘুড়ি তৈরীতে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার টাকা (শ্রমের মূল্য সহ) খরচ পরেছে। গত বুধবার বিকেল থেকে এ ঘুড়ি আকাশে উড়াচ্ছি অথচ আমার শখের ঘুড়িকে ইমতিয়াজ মুহাম্মদ সুমন তাদের এলাকার ঘুড়ি বলে চালিয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের চিন্তা করছি।
ঘুড়ি নিয়ে এ ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন, আলোকিত কাটাখালী ফেসবুক গ্রæপ পেজের এ্যাডমিন এম এ আলীম আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম সুমন, আমান উল্লাহ, ইশারত আলী, প্রমুখ।