পাবনার চাটমোহর উপজেলাসহ চলনবিল অঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। উঠানে উঠানে চলছে মাড়াই। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছেন না কৃষক। কৃষকেরা বোরো ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিক না মেলায় বোরো ধান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চলনবিল অঞ্চলের কৃষকরা। এ কারণে অতিরিক্ত মজুরী দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকের।
জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার ডিকসির বিল, বিলকুড়ালিয়া, শানকেমারি বিল, হান্ডিয়াল, ছাইকোলা ও নিমাইচড়াসহ বিভিন্ন বিলে ধান কাটছে কৃষকরা। বৃষ্টি ও বর্ষনের পানিতে অনেক বোরোক্ষেত ডুবে গেছে। পানির মধ্যে কৃষকে ধান কাটতে হচ্ছে।
ছাইকোলা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক ভিম মন্ডল বলেন, চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলতে চরম সমস্যা হচ্ছে। বিলচলন ইউনিয়ন চরপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম জানায়, ধান কাটা শ্রমিকের কদর বেড়েছে। এখন সুযোগ পেয়ে অন্য পেশার শ্রমিকেরা ধান কাটার কাজে নেমেছে। বর্তমানে ধানকাটা শ্রমিকের মজুরী মালিকের তিন বেলা খেয়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক ধান কাটতে প্রতি কাঠায় ১০ থেকে ১২ কেজি করে ধান নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ধান কাটার পর রোদ না থাকায় ধান ও খড় শুকানো যাচ্ছে না। এদিকে ধান আবাদ করে কৃষক লোকসানে পড়েছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, চলতি বছরে ৯ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৯ হাজার ৮’শ ৬৫ হেক্টর জমিতে। তবে এবছর ফলন ভালো হয়েছিল।