প্রবাসীর স্ত্রীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারপিট: থানায় অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের।

বুধবার (৩ জুন) শমসেরনগরের ১নং ওর্য়াডের সারংগপুর (শংকরপুর) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, দুবাই প্রবাসী মোঃ রইচ মিয়ার স্ত্রী অনেক দিন যাবত প্রতিবেশী মোঃ সত্তার মিয়া (৫০) ও তার ভাতিজা মহসিন (২৫) এর অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। উঠানের মাঝে বেড়া দিয়ে, রাস্তায় বার বার বাশ ময়লা ফেলে চলার পথ বন্ধ করে রইচ মিয়ার স্ত্রী কে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এলাকার  মেম্বারসহ মুরব্বিদের অনেককেই অবহিত করার পরও কোন সূরাহা পাচ্ছেন না প্রবাসীর পরিবারটি। 

অভিযোগকারী জলি বেগম (২৫) জানান, আমার স্বামী একজন দুবাই প্রবাসী। সেই সুবাধে আমার দুই কন্যা সন্তান নিয়ে স্বামীর বসতীবাড়ীতে বসবাস করে আসছি। বিবাদীগণ আমার পাশাপাশি বাড়ির, তাদের সাথে আমাদের পূর্ব হতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। তারা আমার স্বামীর নামীয় সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসিতেছে। ঘটনার দিন সকল বিবাদীগণ আমার বসতঘরের পূর্ব পাশে টিউবওয়েলের পাশে বিভিন্ন আবর্জনা ফেলে, তাতে আমি বাঁধা প্রদান করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, এক পর্যায়ে তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জখমি মারপিট করে ও শ্লিলতাহানির চেষ্টা করে। মারপিটের এক পর্যায়ে আমার পরনে থাকা স্বর্ণ অলংকার যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ২৫হাজার টাকার পরিমান লুট করে। প্রতিবেশিরা এসে আমাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

তিনি আরো জানান, ঘটনার বিস্তারিত এলাকার মেম্বারসহ গন্যমান্যদের জানিয়ে বিচার প্রার্থী হই। কিন্তু কোন বিহিত ব্যাবস্থা পাইনি। এলাকার মেম্বার তথা মুরব্বিরা ভয় পান বিবাদী প্রভাবশালী সত্তার ও মহসিন কে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্যাতিত মহিলার  এক প্রতিবেশী জানালেন, প্রবাসীর পৈত্তিক কিছু জমি সত্তার মিয়ার দখলে, মূল দ্বন্দ সেখান থেকেই। সত্তার মিয়া এলাকার কোন বিচার মানে না বা কেউ বিচারের আওতায় আনতে পারেন না তাকে। তাই আজও বিষয়টির কোন সুষ্ট সমাধান হয়নি । সত্তার মিয়া নাকি এলাকার মেম্বার বা মুরব্বিদের তুয়াক্কা করেন না।  ভয়ে নাকি কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।

তিনি আরও বলেন, ভাই আপনারা সাংবাদিকরা সমাজের আয়না । আপনাদের কলমের খোচায় অনেক মানুষ ন্যায় বিচার পায়। বর্তমানে একের পর এক হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে অসহায় এই মহিলাকে বাড়ি ছাড়া করার পায়তারা করছে সাত্তার ও তার ভাতিজা মহসীন। তাই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাড়ান।

বিবাদী মো. ছত্তার মিয়ার কাছে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঘটনার কিছুই জানিনা। আমারে ও আমার ভাতিজারে ফাঁসানোর পায়তারা করছে এই মহিলা। আমরা উল্লেখিত ঘটনার দিন ও সময়ে বাড়িতে উপস্থিত ছিলাম না। বাদি জলি বেগম তার প্রতিবেশির প্ররোচনায় অনেক আগে থেকেই আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। এই ঘটনা তার সম্পুর্ন সাজানো।