আমি গভীর রাতের অগোচরে কাঁটা ও পাতার গভীরে তোমার জ্যোতির্ময় রূপ ও ফুলের সৌন্দর্য খুঁজি গোপনে গোপনে বিভোরে!ওই সুউচ্চ সপ্তম আকাশে তুমি যেন নূরের আলোয় ও বিশোধন প্রেমের চেতনায় পবিত্র!আমি নোভা নেপচুন ইউরেনাস গ্রহে আর চান্দ্রময় আকাশে ও রংধনুর নক্ষত্রে নক্ষত্রে,তোমার সন্ধান করি আর্বতন ও বিবর্তনের নব নব প্রগতিশীল জ্ঞানে!তোমার দ্বীনের আহবান ধ্বনি সূর্য তুল্য প্রেম ও প্রণয়ে সুর তোলে আমার কর্ণে,যেন অতৃপ্ত নিরানন্দের গভীরেই খুঁজে পাই তোমার তৃপ্ত প্রেমের আনন্দ গান ও লহড়ি ঝর্ণা।কতো আশা কতো কামনার বাসনা ও কতো মধুময় রঙের সজিব বাহারে,আমি বাঁশির সুরেলা ধ্বনি শুনি তোমার জাতের আর্দশ নীতিতে মগ্ন বিভোরে!তারপর আমার তৃতীয় নয়নে উজার করে তোমাকে অনুভব উপলব্ধি করি দীপ্ত যৌবন আয়ুর গভীরে!দেহের উদ্যানে কাঁটা ও পাতার পরিতাপ দহন সংস্কারে আমার মন পাখি সারাদিন সারারাত বেদনায় কোলাহল করে,আর আমার মনের বীণায় তোমার প্রাচীন প্রেম ও বসন্ত কোকিলের দিওয়ানা গান তোলে জীবন পরিবর্তন ঝংকারে।মহাকাল এমনই একাকি প্রতিক্ষা করে আর গন্ধবিলায় শিমুল পলাশ ফোটা সৌরভে গৌরবে,সূর্য রাঙা সকাল ও বিকেলে মৃত্তিকায় সোনালী ফসল দোলে প্রাণশক্তির স্বভাব আদবে,কতো অতীত হিজল তমাল মাঠে আমি শত শত বর্ষে সুফির সাধনা ও বাউলের একতারা হাতে মধুময় সুরে গান গাইতাম অশেষ!তারপর আঁধার ভেঙে ভেঙে হেঁটে যেতাম আর তোমাকে খুঁজিতাম সবুজ কুঞ্জবনের পুষ্প কানন সাম্য রাখাল সংস্কার।আবার কখনো স্মৃতিময় অভিসার নদীর বাঁকে বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতাম প্রেমের কাঙ্গাল,এখনো সেই নদীর গভীরে ও গহীনে তোমার কাজল বর্ণ চোখ রূপের ঢেউ তোলে চঞ্চল!যেন উজ্জ্বল ও সৌন্দর্যভরা প্রেমের জ্যোতিতে জ্বল জ্বল দীপ্তময় শিখার প্রেমমালা।হয়তো এক সময় তোমার ভালোবাসা উন্মোচিত হবে কাঁটা ও পাতার গভীর থেকে আনন্দ বিরহের সৌরভ শরাব!তখন বিচ্ছেদ বেদনার দহনে নতুন ফুল ফোটবে আর গন্ধ ছড়াবে জীবন গৌরব।নব নব পাতা ও কাঁটার বুকেই তোমার আর আমার মিলন চেতনার নতুন যৌবন ঠিকানা!এক অনাদি অক্ষয় চির-সবুজ আর অনন্ত সুমধুর জীবন।