লালপুরে সাব-রেজিষ্টারের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দলিল লেখক ও নকলনবিসরা মানববন্ধন করেছে।
মঙ্গলবার (২জুন) দুপুরে লালপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখক ও নকল নবিসরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
দলিল লেখকরা নাটোর জেলা রেজিষ্টার বরাবর স্বারক লিপিতে উল্লেখ করেছেন গত মার্চ থেকে দলিল রেজিষ্টি বন্ধ, গত এক বছর যাবত দলিল ফেরত বন্ধ, দুপুর ২ টার পরে অফিসে এসে ৪ টার মধ্যে চলে যাওয়া, অফিসে না এসে
নৈশ প্রহরি দিয়ে হাজিরা খাতাসহ প্রয়োজনীয় ফাইল পত্র বাহিরে নিয়ে যাওয়া, অফিসের মহিলা কর্মচারি ও নকল নবিশদের সহিত অসৎ আচরণ, লাইসেন্স বাতিলের হুমকি প্রদান করে থাকেন। দলিল লেখক সুত্রে জানা যায়, লালপুর সাব-রেজিষ্টার মো: ওবায়েদ উল্লাহ গত রোববার (৩১ মে) ও
সোমবার (১ জুন) জমি রেজিষ্টেশনের নির্ধারিত দিনে অফিস না করায় প্রায় দুই শতাধিক জমি ক্রয়- বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
দলিল লেখক সাইফুল ইসলাম বলেন, ৩ মাস পরে অফিস শুরু হওয়ায় সাব-রেজিষ্টার রোববার অফিসে না আসায় ও সোমবার (১ জুন) অফিসে এসে আধা ঘন্টা না থেকেই আফিসের ২জন কর্মচারিকে সাথে নিয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন দলিল লেখক বলেন, সাব-রেজিষ্টার অফিসে নানা ভাবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, এনিয়ে দলিল লেখক ও জমি ক্রেতা-বিেেক্রতারা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। সাব-রেজিষ্টারের সহকারি সাজদার রহমান জানান,সাব-রেজিষ্টার গুরুদাসপুর ও বাগাতিপাড়া সাব-রেজিষ্টি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় আজ (০২/০৬/২০২০) কে অফিসে এসেই গুরুদাসপুরে চলে গেছেন, একজন নারী ষ্টাফ নাটোর অফিসে ও খলিলুর রহমান আজকে সাময়িক ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেছেন। খলিলুর রহমানের সাময়িক ছুটির আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে আবেদন পত্র বের করে দেখান, সে আবেদন পত্রের সাথে আজকের সাময়িক ছুটির তারিখের মিল নেই।
সাব রেজিষ্টার মো: ওবায়েদ উল্লাহ’র সাথে এ ব্যপারে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি মানব বন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, দলিল লেখকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেছি এবং সাব রেজিষ্টারের সাথে ফোনে কথা বলেছি।