পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাদিয়া সেঁজুতি মুগ্ধ এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রত্যেক বিষয়ে গড়ে ৯৬.০৭ নাম্বার পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এবছর ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়নের নৌবাড়ীয়া গ্রামে অবস্থিত মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ চলতি অর্থবছরে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন এমপিওভুক্ত হয়। শিক্ষক দম্পতির একমাত্র কন্যা মুগ্ধ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা শওকত আলী ও সালমা সুলতানা দম্পতির একমাত্র কন্যা সাদিয়া সেঁজুতি মুগ্ধ। শওকত আলী উপজেলার অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং সালমা সুলতানা ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক। ছোটবেলা থেকেই মুগ্ধ অত্যন্ত মেধাবী। এরওপর শিক্ষক পিতা-মাতা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে তাকে সর্বদা সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে মুগ্ধ পঞ্চম শ্রেণীতে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অষ্টম শ্রেণীতে মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এরপর এই বছর সে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সে প্রত্যেক বিষয়ে গড়ে ৯৬.০৭ নাম্বার পেয়ে উপজেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককভাবে শীর্ষ স্থান অধিকার করে।
শিক্ষার্থী মুগ্ধর মা সালমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছেলে ও মেয়েকে কখনো আলাদা চোখে দেখিনি। ছোটবেলা থেকেই দু’জনকেই পড়াশোনার জন্য সাধ্যমত সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। নিজেরা চাকুরী করে বাড়িতে যতটুকু সময় পেয়েছি সন্তানদেরকে পড়াশোনা করিয়েছি। তারা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার পাশাপাশি যেন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে তাদেরকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেই।’
শিক্ষার্থী সাদিয়া সেঁজুতি মুগ্ধ জানায়, তার ভালো ফলাফলের পিছনে অবদান রয়েছে পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের। শিক্ষাজীবনে সে কখনোই অবহেলা করে সময় নষ্ট করেনি। সবসময়ই পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুসরণ করে সে সামনে এগিয়েছে। মুগ্ধ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে এদেশের মানুষের সেবা করতে চায়।
মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা সবসময়ই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তানের মতো করে যত্ন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের বিদ্যালয় প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে প্রত্যেক শ্রেণীতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা হয়। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়। সাদিয়া সেঁজুতি মুগ্ধ অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। সে প্রতিটি ক্লাসে ভাল ফলাফল করে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সে এসএসসি পরীক্ষায় অত্যন্ত ভাল ফলাফল করেছে।