ইয়ানূর রহমান : স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দার রকিব উদ্দীন নকি মোল্লাকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অবরুদ্ধ করে বিদ্যুতের খুটির সাথে কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছে সাধারণ শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
অভিযুক্ত শ্রমিক সর্দার নকি মোল্লা বেনাপোল স্থলবন্দর ৮৯১ শ্রমিক ইউনিয়নের গ্রুপ সর্দার। পৌরসভার বড়আচড়াঁ গ্রামের সকু মোল্লার ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সাধারণ শ্রমিকেরা বলছেন, রক্ত ঘাম ঝরিয়ে শ্রমিকদের উপার্জনের টাকা তিনি আত্মসাৎ করে কোটি কোটি টাকার গাড়ি, বাড়ি সম্পদ করেছেন। অথচ তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না।
বেনাপোল বন্দরের ৮৯১ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি খলিলুর রহমান জানান, এর আগে অনেক বার টাকা পরিশোধের কথা বলেও দেননি। ৩০ মে পরিশোধের শেষ দিন ছিল। টাকা না দেওয়ায় তাকে অদ্য ৩১ শে মে বিকাল ৪ ঘটিকায় প্রধান সড়কের শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে সাধারণ শ্রমিকেরা অবরুদ্ধ করে বিদ্যুতের খুটির সাথে কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছে সাধারণ শ্রমিকেরা৷ এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গেলে ঘটনা স্থলে বেনাপোল পোর্ট থানার জরুরী টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক সর্দার বলেন, পোর্ট থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপস্থিতে শালিশীর মাধ্যমে অভিযুক্ত নকি মোল্লা ৭০ লক্ষ টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গিকার করে এবং টাকা পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নকি মোল্লা প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা দিতে স্বিকার করেন।
এদিকে, সাধারণ শ্রমিকদের টাকা সঞ্চয়ের নামে জমা রাখতেন শ্রমিক সর্দার নকি মোল্লা। এছাড়া বিভিন্ন জিনিস পত্র কেনার নামে তিনগুণ টাকা বেশি দেখিয়ে রশিদ জমা দিত। সব মিলিয়ে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা তার কাছে পাওনা। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় সহজে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারতেন না। এখন একদিকে করোনা অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সর্বশান্ত হয়ে দেয়ালে তাদের পিট ঠেকে যাওয়ায় মুখ খুলেছে শ্রমিকরা।#