শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল ৩১শে মে রবিবার থেকে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি বিবেচনা করে কাউন্টার থেকে কোন টিকিট বিক্রি হবে না। শুধূমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কেনা যাবে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রী ভাড়া বাড়ছে না। জোনের পাকশী ডিভিশন হতে চিত্রা ও বনলতা এক্সপ্রেস এবং লালমনিরহাট ডিভিশনে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করবে। ট্রেন চলাচল ও আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো চলাচল করবে বলে শনিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিসিও ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, রবিবার থেকে প্রথমে ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত ৪টি যাত্রী বাহী আন্তঃনগর ট্রেন রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে। করোনা সংক্রমন রোধকল্পে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি না হয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হবে। ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলেও ভাড়া বৃদ্ধি হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসি বার্থের জন্য যে বেডিং সরবরাহ করা হতো, করোনার কারণে বেডিং সরবরাহ হবে না। ব্যক্তিগত বেডিং নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে হবে। বেডিং বাবদ গৃহীত ৫০ টাকা টিকিট বিক্রির সময় ভাড়া থেকে বাদ দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ৩রা জুন থেকে পাকশী বিভাগে ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত আরো ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-গোয়ালন্দ-রাজশাহী ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’, রাজশাহী-খুলনা-রাজশাহী ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’, বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ এবং খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা এর মধ্যে চলাচলকারী ‘রূপসা এক্সপ্রেস’। লালমণিরহাট বিভাগে চিলাহাটি-ঢাকা চিলাহাটি ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ এবং কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’।
ডিসিও মন্ত্রণালয়ের আরো কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, যেসব ষ্টেশনে অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা নেই, সেই ষ্টেশনগুলোতে শুধুমাত্র কাউন্টার থেকে ছাপানো টিকিট বিক্রি হবে। ষ্টেশনে যাত্রী উঠানামার ক্ষেত্রেও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করার পাশাপাশি ট্রেনের ভেতর অযথা ঘোরাঘুরি করা যাবে না। যার যার আসনে বসে থাকতে হবে। তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ট্রেন ছাড়ার ১ ঘন্টা পূর্বে ষ্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনে কোন খাবারের গাড়ি থাকছে না। প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি যাত্রীদের সাথে করে নিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি নিরাপদে থাকার জন্য জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।