আমফানের প্রভাব, গুমানী নদীর পানি বৃদ্ধি, নটাবাড়িয়ায় কিনুসরকারের ধরের স্লুইজগেট খোলা থাকায় ও অতিবৃষ্টিতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া, ছাইকোলা, হান্ডিয়াল ও বিলচলন ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিমজ্জিত ও আক্রান্ত জমির পরিমান প্রায় দুইশ হেক্টর। একই সাথে সবাই কাঁচা পাকা ধান কাটতে শুরু করায় শ্রমিক সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমান একজন ধান কাটা শ্রমিকের মজুরী ৭শ টাকায় পৌছেছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৯ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু ধান কাটা হয়েছিল। জোয়ারের প্রভাবে বেশ কিছু এলাকার ধান পানিতে আক্রান্ত হবার পর মঙ্গলবার রাতের অতিবর্ষণে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। উপজেলার বোয়াইলমারী গ্রামের আলহাজ¦ শামসুল সরকার জানান, পাশর্^বর্তী আফরার বিলে তার দুটি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর অধীনে নিজের ২৬ বিঘা ও অন্যদের ২০ বিঘা জমি রয়েছে। সমস্ত জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তার ৬ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “খরচের পয়সা তুলব্যার পারলি জানডা বাঁচতো।” একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন জানান, তার দশ কাঠা জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। কাটেঙ্গা বাওন বাজার এলাকার জামরুল ইসলাম জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মামাখালী গ্রামের ইসরাফিল হোসেন এবং বরদানগর গ্রামের রতন হোসেন জানান, কাটাগাঙের পাশর্^বর্তী মামাখালী থেকে জিয়েলগাড়ী পর্যন্ত কয়েক’শ বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নিচু এলাকার ধান কেটে নৌকা যোগে বাড়ি নিতে হচ্ছে বলে বাড়ছে ধান কাটার খরচ। জমিতে কেটে রাখা ধান ঢেওয়ে ভেসেও গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ.মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত দেখানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোঃ রায়হান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে নটাবাড়িয়ায় অবস্থিত কিনু সরকারের ধরের স্লুইজগেট আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন।