বৈশ্বিক দুর্যোগ মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার
তিরোধে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী দায়িত্বশীল
কর্ম তৎপরতায় উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। এ ভাইরাস সংক্রমণ রোধ
কল্পে ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনসচেতনতা সৃষ্টি, প্রবাস ফেরত
ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করণ, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও
ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখে
নজির স্থাপন করেছেন ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী।
জানা
গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকেই
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের সকল
হাট-বাজার, গ্রামীণ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কে মাইকিং করে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বার্তা প্রচার শুরু করেন।
এ
ছাড়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন
আইন অমান্যকারী বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জরিমানা এবং সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ
গ্রহণ করেন। ১লা মার্চ থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্যের
বৃদ্ধিকারি দোকানদার, কোচিং সেন্টারের মালিক ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম
কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন
সাজা প্রদান করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী।
এ
সময় তিনি বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের যত্রতত্র ঘোরাফেরা না করে হোম
কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর
মূল্য বৃদ্ধি না করার কঠোর নিদের্শনা দেন।
২৬
মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী সকাল থেকে রাত
পর্যন্ত উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের সবকটিতেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য
নিয়ন্ত্রণ ও আড্ডা-জমায়েত বন্ধে প্রচারণা চালান।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের
জানান, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী অত্যন্ত পরিশ্রমী
একজন কর্মকর্তা। তিনি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর
নিচ্ছেন এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা
পালন সহ উপজেলার প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক
খোঁজ খবর ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।
একাধিক
জনপ্রতিনিধিরা ও সাপাহার উপজেলার সাধারণ জনগণ সাংবাদিকদের কে জানান ,
ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী সাপাহারে যোগদানের পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে
সমন্বয় করে রাত-দিন সাপাহার উপজেলা বাসীর জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে
যাচ্ছেন। এমন নিষ্ঠাবান-কর্মঠ ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ইউএনও অতীতে খুব কম
পেয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিনি সাপাহারে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন
তা নজিরবিহীন। তাঁর কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তিনি কেবল ইউএনও নন, সাপাহার
উপজেলার একজন সচেতন অভিভাবকও। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার শুরু থেকেই
সতর্ক অবস্থানে ছিলো। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড
চালিয়ে আসছিলেন।
সেক্ষেত্রে
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
সাপাহার উপজেলার জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এবং করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে তিনি
নানামুখী কর্মকাণ্ড শুরু থেকে প্রতিনিয়ত অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দিবারাত্রি
নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইউএনওকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার জন্য
প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
সাপাহার
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী সংবাদকর্মীকে জানান সাপাহার
যোগদানের পর থেকে প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি
মাত্র। করোনা পরিস্থিতিতে ও সরকারি নির্দেশনা মতে কাজ করে যাচ্ছি।
সারাদেশের ইউএনও-এসিল্যান্ড সহ সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে কাজ করছে আমিও সে
ভাবে কাজ করছি। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক জনপ্রতিনিধি, সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ অনেকে সার্বিক
সহাযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইউএনও
আরো বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ আতংকিত। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভ্যানচালক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ,
ভিক্ষুক, অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।
সংকটময় এ মুহূর্তে তাদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে
স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা দরকার। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে বাড়িতে
অবস্থান করারও অনুরোধ জানান।