পাবনার ফরিদপুরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে ৪০০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন। আজ শনিবার বিকালে উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ি ইউনিয়নের এরশাদনগর গ্রামের আফসার আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে আফসার আলী পলাতক রয়েছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন আফসার আলীর মেয়ে আফিয়া সুলতানাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুর উপজেলার এরশাদনগর গ্রামের নদীর ঘাটে কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি কর্মসূচির বস্তাসহ চাল নৌকা যোগে এনে বিক্রি করছিল। এসময় ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ এই সরকারি চাল কেনে। এরমধ্যে এরশাদনগর গ্রামের আফসার আলী একাই ১৬ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল কেনে। এরপর সরকারি বস্তা থেকে চাল ঢেলে নিজেদের বাড়ির বস্তায় চাল মজুদ করেন আফসার আলী। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে বিকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী আফসার আলীর বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় ওই বাড়ি থেকে সরকারি কর্মসূচির চালের খালি বস্তা ও ৪০০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত চাল, খালি বস্তা ও এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আফসার আলীর মেয়ে আফিয়া সুলতানাকে ফরিদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আফিয়া সুলতানার দাবি, পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রণো এরশাদনগরের আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে চাল বিক্রি করান। আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে তার বাবাসহ কয়েকজন সরকারি কর্মসূচির এই চাল কিনেছে। এই চাল তারা কবুতর ও পোষ্য প্রাণীকে খাওয়াবেন বলে তিনি জানান।
তবে অশোক কুমার ঘোষ প্রণো এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদ দুর্নীতিমুক্ত। সকল কর্মসূচির চাল বিতরণে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়। আফসার আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত চাল সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কিনতে পারে বলে ওই চেয়ারম্যান জানান।
ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী চাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার এরশাদনগর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সরকারি কর্মসূচির আনুমানিক ৪০০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই চাল কোথা থেকে এসেছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।