দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের তেল পাচার করে বিক্রির সময় লোকোমোটিভের চালক, সহকারী চালক ও চোরাই তেলের ক্রেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার বিকেল ৫টায় পার্বতীপুর রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে হলদিবাড়ী রেল গেটে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন শহরের রহমত নগর মহল্লার এরশাদ আলীর ছেলে চালক (লোকোমাস্টার) মো. সেলিম, পাওয়ার হাউজ কলোনির আনছার আলীর ছেলে এএলএম (সহকারী চালক) মো. উজ্জল হোসেন, চোরাই তেলের ব্যবসায়ী পাওয়ার হাউজ কলোনির তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. হাছান আলী।
পিকে ৭ আপ জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন খুলনা থেকে পার্বতীপুরে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা সদস্যরা আগে থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। বিকেল ৫টার দিকে ইঞ্জিন থামিয়ে ১৮০ লিটার তেলসহ হাতেনাতে ওই তিনজনকে আটক করেন।
পার্বতীপুর ডিজেল সেডের লোকো ইনচার্জ মো. কাফিউল ইসলাম বলেন, তেলবাহী ট্রেনটি খুলনা থেকে পার্বতীপুর এসে পৌঁছে। লোকোমোটিভের দুই স্টাফ ঈশ্বরদী থেকে চার্জ নিয়ে (দায়িত্ব) পার্বতীপুরে আসে।
তিনি আরো বলেন, আসলে তেল কখনোই চুরি হয় না, দক্ষ চালক তার প্রাপ্ত রেশন থেকে যে পরিমাণ তেল সেভ করে তা বাইরে ফেলে দেয় অথবা একটি সংঘবদ্ধ তেল চোরের কাছে বিক্রি করে দেয়। রেশনে পাওয়া তেল ড্রাইভার তার দক্ষতা দিয়ে সেভ করলেও পুরস্কৃত করার বিধান না থাকায় তারা এগুলো মিসইউজ করে। অন্য দিকে, ড্রাইভাররা কোনো কারণে রেশনের অতিরিক্ত তেল খরচ করলে তাদের জরিমানা গুনতে হয়।
পার্বতীপুরের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, রেল ইঞ্জিন থেকে তেল চুরি করে পাচারের সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ইঞ্জিনের চালক, সহকারী চালক ও ক্রেতাকে আটক করে।