ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
চলতি বোরো মৌসুমে ঈশ্বরদীর খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহের তালিকা তৈরীতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় ঈশ্বরদীর এলএসডি ও মুলাডুলি সিএসডি খাদ্যগুদামে সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন এস কাইয়ুম চাল সংগ্রহ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিল, বয়লার, চাতাল কোনোটাই নেই, এমনকি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এমন মিলও চাল সরবরাহের জন্য তালিকাভূক্ত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে বন্ধ চালকল এবং এখনও চালুই হয়নি এধরণের প্রতিষ্ঠানও গুদামে চাল সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে। ঈশ্বরদীতে ৬০ – ৭০টি চালকলের েেত্র এই অনিয়মের ঘটনার খবর বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ গত ১২ই মে এক আদেশে ঈশ্বরদীর দুটি গুদামে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন। সাথে সাথে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি ঈশ্বরদীর ৫১টি চালকলে সরেজমিন তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে। রবিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে ফোনে তদন্ত প্রসংগে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দু’য়েকদিনের মধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
সরেজমিনে তদন্তের সময় উপস্থিত মিল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তদন্তে অটো রাইচ মিলসহ বেশ কয়েকটি হাসকিং মিলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
ঈশ্বরদী খাদ্যগুদাম ও মুলাডুলি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য এবারে ৪২৫টি চালকলকে ১৫ হাজার ১৬২ টন চাল বরাদ্দ দিয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রকৃত চালকল মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় শক্তিশালী সিন্ডিকেটের যৌথ কারসাজিতে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাবনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এই তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। তাকে সহযোগিতা করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন এস কাইয়ুম। এব্যাপারে মেসার্স রেদওয়ান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান মহলদার দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চাল সংগ্রহ আপাতত বন্ধ রয়েছে। অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। বরাদ্দের তালিকা প্রণয়নে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ##