নাটোরের সিংড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার শাস্তি দেয়া হয়েছে জুতা পেটা। গ্রাম্যশ সালিসে এই শাস্তি নির্ধারণ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং অপর একজন আওয়ামীলীগ নেতা। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
এলাকাবাসী জানায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলা চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের গৃহবধূ(৩৫) সোমবার সন্ধ্যায় ধান কাটা শ্রমিক ঠিক করে বাড়িতে ফিরছিলেন।এ সময় তাকে একা পেয়ে গ্রামের জেকেরের ছেলে জেহাদ এবং দেলবরের ছেলে রুবেল চাকু দেখিয়ে এবং মুখ চেপে ওই গৃহবধূকে বাঁশঝাড়ের ভিতরে নিয়ে গিয়ে রুবেল ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে জেহাদ এবং রুবেল পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি গ্রাম্য প্রধানদের জানালে ইউপি সদস্য ফারুক এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক তোফাজ্জল হোসেন একটি বৈঠক ডেকে জুতার বাড়ি দিয়ে মীমাংসা করে দেয় বলে জানিয়েছে ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ। থানায় অভিযোগ দেননি কেন এমন প্রশ্নে ওই গৃহবধূ জানান, জিহাদ আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনের ভাগ্নে এবং অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে থানায় যাননি তিনি।
এর আগেও ওই দুইজন বিরুদ্ধে একটি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় কোন বিচার হয়নি।
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক জানান, বিষয়টি সোমবার রাতে ঘটায় তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। পরে জেহাদ এবং রুবেলের অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে একটা মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অভিযুক্তরা অল্প বয়সী হওয়ায় তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক তোফাজ্জল হোসেন জানান, সালিশে বাদীর জবানবন্দি শুনে এবং সাক্ষী রহিমের বক্তব্য শুনে কোন দোষ প্রমাণ হয়নি। তার পরেও আমরা ওই দুই ছেলেকে ওই মহিলার পা ধরে ক্ষমা চাওয়া এবং জুতার বাড়ি দিয়ে বিষয়টি নি®পত্তি করেছি।