মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিক হাওর এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আলকাব বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত একই পরিবারের জয়নাল মিয়া@ শুক্কুর আলী (৪৮), হাবিজ মিয়া (৩৫) ও রকিজ মিয়া (৩৩) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছেন। এর মধ্যে জয়নাল মিয়া@ শুক্কুর আলী মুমর্ষ অবস্থায় জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকায় ( পি- বেড নং-১৯) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত সে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। এবং হাবিজ মিয়া ও রকিজ মিয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘঠনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় চাচাতো ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মানিক হাওর এলাকার মাম্মদ মিয়ার পুত্র আলকাব বাহিনীর আলকাব মিয়া (৪০), আলী হোসেন (২০), আলীক মিয়া (৪৫), আলা মিয়া (৩৮),রাকিব মিয়া (২৫), সাকির মিয়া (১৯), আব্দুর রহমান (৫৫), রুজিনা বেগম (২০), তোয়াহিদ মিয়া (৫০), আশিক মিয়া (৪০), রুবেনা বেগম (৩০), সুলতান মিয়া (৪৮), আতিক মিয়া (১৮), ছনাই মিয়া (৫০), রিনা বেগম (৩০), রুমি বেগম (২৬), জাসমিন বেগম (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনকে আসামী করে মামলা ( নং- ১০/১০০, তারিখ ঃ ০৬/০৫/২০২০ইং) দায়ের করেছেন। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী আলী হোসেন ও ৯ নং আসামী তোয়াহিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত বাহিনীর সর্দার আলকাবকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে- গত ৬ মে বিকালে জয়নাল মিয়া মানিক হাওর থেকে তার ১৬’শ হাঁস নিয়ে প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফিরছিলেন। আটঘর এলাকার একলিম মিয়ার বাড়ির সামনে আসা মাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা আলকাব বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাঁস ছিনতাই করার উদ্যাশ্যে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় জয়নাল মিয়া@ শুক্কুর আলী, হাবিজ মিয়া, ও রকিজ মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আলকাব বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতলে রেফার্ড করেন। এদের মধ্যে জয়নাল মিয়ার অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় তাকে বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় পল¬ী চিকিৎসক ও ইউপি সদস্য রোশন মিয়া, আজাদ মিয়া, শাকির আখন্দ, মোঃ আবুল কালাম, শেখ কয়েছ, আবু সুফিয়ান, আল-আমিন,তুহিন,রাজন, রোকেয়া বেগম ও শেখ সুহেল আহমদ জানান- হাঁসের মালিক জযনাল মিয়া প্রতিদিনের ডিম বিক্রি করে তার পরিবার চলত। কিন্তু আলকাব বাহিনীর সদস্যরা জোরপূর্বক হাঁস নিয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসার ব্যয় বহন করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। করোনা সংকটে পরিবারের দৈনন্দি খরচ জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছে এই পরিবার। অপরদিকে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আলকাব বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাদন ব্যবসা সহনানা অপকর্ম করছে ওই বাহিনী। জায়গা দখল, হামলা, মামলার ভয়, গবাদিপশু ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম। কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রতিবাদ করলে হামলা মামলার স্বীকার হতে হয় স্থানীয়দের। সর্বশেষ-একটি সুত্র জানায় আলকাব বাহিনীর পক্ষে তার এক নিকট আন্তীয় নারায়ন পাশা গ্রামের সোলেমান মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম মডেল থানায় বাদী হয়ে ঘঠনার পরদিন অর্থাৎ গত ৭ মে বসতবাড়ীতে হামলা-ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে হোসেন পুর গ্রামের আজাদ মিয়াসহ ২৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা ( নং- ১১/১০১, তারিখ ঃ ০৭/০৫/২০২০ইং) দায়ের করেছেন।