মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৭ ও ১০ মে বৃহস্পতিবার ও রবিবার বাংলাদেশ বিসনেস এন্ড ডিজএবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) এবং অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় গাজীপুর সদর, টঙ্গী এবং কাপাসিয়া উপজেলায় পিডিডিও, সিডাড ও কেইউপিডিসি সংস্থার উদ্যেগে ২৭ টি দরিদ্র ও কর্মহীন প্রতিবন্ধী পরিবারের (১০৮ জন ব্যক্তি) মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল পরিবার প্রতি ১৫ কেজি চাল, ২ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম লবণ ও ২টি সাবান।
খাদ্য সামগ্রী পেয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা করোনার কারণে দীর্ঘদিন খাদ্য কষ্টে ছিলাম। এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে আমাদের খুবই উপকার হয়েছে।”
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজে নিয়োজিত পিডিডিও, সেডাড ও কেইউডিপিডিসি সংস্থার, নেতারা বলেন, “এ কাজে যুক্ত থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি হয়েছি। বিবিডিএন এবং অ্যাকসেস বাংলাদেশ কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আগামীতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাছি।”
এ ব্যাপারে বিবিডিএন এর নির্বাহী পরিচালক মুরতেজা রাফি খান তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “বিবিডিএন এর জন্মলগ্ন থেকেই আমরা নিরলস ভাবে প্রতিবন্ধী মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন এর জন্য কাজ করে যাছি। আজ জাতির এহেন ক্রান্তিলগ্নে অসহায় এসব প্রতিবন্ধী মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতেও বিবিডিএন প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য একই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবে। পরিশেষে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই একাজে বিবিডিএন এর সহযোগী অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেনশকে।”
অ্যাকসেস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, “অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন গত ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সমাজের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ও আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে যে সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালাতো তারা আজ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এদের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা। বিবিডিএন এর সহযোগিতায় ২৭টি প্রতিবন্ধী পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। আমি সমাজের বিত্তবানদের একাজে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।”