নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে দুর্গাপুর ইউনিয়ন থেকে আগত বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, করোনা ইস্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যেগে তালিকাভুক্ত উপকার ভোগীদের নামে বরাদ্দকৃত জিআর এর চাল বিতরনের তালিকায় নাম থাকলেও ওই সিলিপ উপকার ভোগীদের হাতে না দিয়ে অন্যদের দিয়ে চাল উঠিয়ে নিয়েছেন, এছাড়া কালিকাপুর গ্রামের মাফিজ উদ্দিনের স্ত্রীর কাছ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ড দেয়ার নাম করে ৪,২০০/- টাকা, মেনকিফান্দা গ্রামের মো. আব্দুল কাদির এর কাছ থেকে প্রতিবন্ধি কার্ড দেয়ার নাম করে ৫,০০০/- টাকা দাবী করেন, টাকা না দেয়ায় মুল জন্মনিবন্ধন কার্ডটি এখনো ফেরৎ দেননি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মানবিক সহায়তার আওতায় ২৫৯, ২৬৩,২৫৭ ও ২৬৯ নং স্লিপ গুলো উপকার ভুগীদের না দিয়ে ওই চাল গুলো অন্যদের দিয়ে চাল উত্তোলন করেছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা অপর্কেমর ফিরিস্তি তুলে ধরে ওই এলাকার আব্দুর রশীদ, মো. আল আমিন, শাহ্ আলম ও মো. জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা ওই মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে এর আগেও চেয়ারম্যান এর কাছে বহু অভিযোগ করেছি, চেয়ারম্যান তা আমলে না নেয়ার কারনে পরবর্তিতে এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অভিযোগ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীনুর আলম সাজু বলেন, অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আছমা আক্তার এর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। তাঁর এ সকল কর্মকান্ডে আমরা অতিষ্ট হয়ে পরিষদের মিটিংয়ে বেশ কয়েকটি রেজুলেশন করে বারংবার তাঁকে হুশিয়ার করার পরেও এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাঁকে অনেক বোঝানোর পরেও সে থেমে না থেকে পরিষদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি দু‘এক দিনের মধ্যে এর সমাধান হবে ইনশাহ্আল্লাহ।