ধান, গম, আলুসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দেশি ও হাইব্রিড কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভের আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কচু ক্ষেত চোখে পরার মত। দেশি ও হাইব্রিড কচু এখন দীর্ঘদিন শুকনা রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার রামজীবন, তারাপুর, শান্তিরাম, দহবন্দ, সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে কচু চাষ বেশি হচ্ছে। কথা হয় শান্তিরাম পরান গ্রামের কচু চাষি রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তিনি ২ বিঘা জমিতে কচু চাষ করে আসছেন। ২বিঘা জমির ইরি বোর ধান বিক্রি করে যে লাভ হত কচু বিক্রি করে তার তিনগুন লাভ বেশি হচ্ছে। একবিঘা জমিতে কচু চাষাবাদে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এক বিঘাতে ফলন হয় প্রায় ৩০ হতে ৩৫ মন। প্রতিমন বিক্রি হয় প্রায় ৮০০ হতে ১ হাজার টাকা। সুন্দরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, শুকনা কচুর চাহিদা অনেক বেশি। মৌসুমের শুরুতে ৪০ হতে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, কৃষকরা এখন তরিতরকারি চাষাবাদে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণ এতে লাভ বেশি। এছাড়া সুন্দরগঞ্জে উপজেলার মাটি বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের উপযোগি।