বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৯ জনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েব সাইটে এ তথ্য জানানো হয়। এটিই বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে ছয়জন ঢাকার, তিনজন ঢাকা বিভাগের অন্য জেলার এবং চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৩৮২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ ৮৬৭ জনের । মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫১৩ জনের। মোট আক্রান্ত ১২ হাজার ৪২৫ । ১৩০ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ ৯১০ জন। করোনায় মোট শনাক্ত ১২৪২৫ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ১০৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১ হাজার ৭৭১ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৯৫০ জন।
তিনি জানান, এখন ৩৪টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৩৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হতো। নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনো নিজ ঘরে থাকেন।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আহবান জানানো হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক বিচ্ছিন্ন করন এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে ঘরে থাকা জরুরী।
কিন্তু মানুষ সামাজিক জীব। জীবনের অপরিহার্য মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনের তাগিদেই হয়তো
তাকে ঘরের বাইরে আসতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা প্রতিনিয়ত
মানুষকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করছি। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে উৎসাহিত করছি। করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াছে এর কোন টীকা বা সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নাই কাজেই
আসুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পরিত্রাণ পেতে কষ্ট হলেও বাসাতেই থাকি।অতি জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের
হলে মাস্ক পরিধান করি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলি।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম