নাটােের যুবলীগ নেতা কালিয়া আটক, এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতার পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক শরিফুুল ইসলাম কালিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওছমান গণি অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এসময় তার স্ত্রী আহত হয়েছে। অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াজুল ইসলাম মাসুম বলেন, তিনি সে সময় থানায় ছিলেন। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, কালিয়াকে পুলিশ আটক করার ঘটনার জন্য আমাকে দায়ি করে ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণির ছেলেদের হামলায় তার চাচা আব্দুল হাই ও ভাই মেহেদী আহত হয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, কালিয়ার বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে নাটোর থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে। ইতপূর্বেও তাকে আটকের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ । কিন্তু সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার বরিুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানায় , বুধবার বেরা দেড়টার দিকে নাটোর থানা পুলিশ বড়হরিশপুর টার্মিনাল এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম কালিয়াকে আটক করে থানায় আনে। এরপর উইপ চেয়ারম্যান ওসমান গণির পরিবারের লোকজন এ ঘটনার জন্য মাসুমকে দায়ী করে গালিগালাজ করে। এসময় উভয় পক্ষের মদ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে ওসমানগণির স্ত্রী ঠেকাতে গয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। অপরদিকে বড়হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণি অভিযোগ করেন, বুধবার বেলা ৩টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলায় তার স্ত্রী আহত হন। এসময় তার বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে আরিফুল ইসলাম মাসুম উরে।টা অবিযোগ করে বলেণ, গত সোমবার ধলাটে ত্রাণ দেওয়ার সময় বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য কালিয়ার সাথে তা রতর্কতর্কি হয়। এসশয় কালিয়া তাকে গালাগালি শুরু করলে তিনি একটি চড় মারেন। পরে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এরপর আজ বুধবার দুপুরে কালিয়াকে গ্রেফতার করা হলে কালিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে দায়ি করে গালাগালি করা সহ চেয়ারম্যান ওসমান গণির ছেলে রফিকুল , তরিকুল, ও আশরাফুল আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে আমার চাচা আব্দুল হাই ও ভাই মেহেদীকে মারধর করে। এ ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলামনা। তিনি বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য মাসুম ও কালিয়া স¤পর্কে চাচা ভাতিজা। এসব বিষয়ে নাটোর থানার ওসিকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, কালিয়াকে আটকের ঘটনায় মাসুম ও ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে। ওসি সাহেব সেখানেই রয়েছেন। থানায় ফিরে এলে পরর্ব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।