১. বাড়ীতে থার্মোমিটার, মাস্ক, জীবাণুনাশক সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণ করুন।
২. পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ নিরীক্ষণ করুন। এক্ষেত্রে প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাপমাত্রা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩। পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের জন্য জানালা ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দিয়ে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল অব্যাহত রাখুন।
৪. জীবাণুনাশক দ্বারা বাড়ি ও তার আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন ।
৫. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না, ঘন ঘন কাপড় এবং লেপ-তোষক রোদে দিন; ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন, যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না, হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজে রেখে হাঁচি কাশি দিন।
৬। সঠিক পরিমাণে ও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন, একটি বৈজ্ঞানিক ডায়েট প্ল্যান করুন, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধি করুন।
৭। বাইরে থেকে ফিরে এবং হাঁচি- কাশির দেয়ার পর হাত সাবান-পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিন অথবা দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন জীবাণুনাশক (Sanitizer) দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
৮. বন্য প্রাণি খাওয়া বা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। হাঁস-মুরগি ও ডিম খাওয়ার আগে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন।
৯. বেড়াতে যাওয়া, দাওয়াত ও আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০. যদি অসুস্থ থাকেন তবে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন, ভিড়ের জায়গায় যাবেন না এবং বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন। আপনার জন্যে সাধারন কাপড়ের মাস্ক ই যথেষ্ট। এটা পরা এবং খোলার নিয়ম অনুসরণ করুন। পুনঃ ব্যাবহার এর ক্ষেত্রে প্রতিবার ব্যাবহার এর পর হালকা গরম পানিতে সাবান গুলিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিবেন।
১১. জনাকীর্ণ এলাকায় যাতায়াত বা অন্যান্য লোকের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন।
১২. আপনি যদি মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে থাকেন তবে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন বা কমিয়ে আনার/ সীমিত রাখার চেষ্টা করুন;
কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
এবং জীবাণুমুক্তকরণের দিকে মনোযোগ দিন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং
মাস্ক পরুন।