গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় মুখ ডাল চাষের আগ্রহ বেড়েই চলছে দিন দিন। পাশাপাশি ফলনও দেখা দিয়েছে আশানুরুপ। তিস্তার চরে এখন ডালসহ নানাবিধ ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে। চরের কৃষকরা কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই মৌসুম অনুয়ায়ী তারা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে মুখ ডালের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উপজেলার হরিপুর চরের সালেহা বেগমে বলেন তিনি ২ বিঘা জমিতে মুখ ডাল চাষ করেছে। এতে তার খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন ২ বিঘা জমিতে তার ১৫ হতে ১৮ মন ডাল হবে। যার আনুমানিক দাম ২০ হতে ২২ হাজার টাকা। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন ডাল চাষে ঝুকে পড়ছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরের মাটি এখন সকল প্রকার ফসল চাষের জন্য উপযোগি। কৃষকরা এখন রবি ফসল চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। দিন রাত স্ত্রী পুত্র পরিজন নিয়ে পরিশ্রম করে ফসল ফলাচ্ছে কৃষকরা। এ জন্য তারা অধিক লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, প্রতি বছর পলি জমে চরের মাটি অত্যন্ত উর্বর। ডালসহ সে কারণে যে কোন প্রকার ফসল চাষাবাদে চরের মাটি উপযোগি। চরের কৃষকরা ধান চাষাবাদ প্রায় ছেড়ে দিয়ে তারিতরকারি চাষাবাদে মনোযোগি হয়ে উঠছে।