ঈশ্বরদী লোকোসেডে কর্মরত বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম তেল চুরি চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ৪০ কিঃমিঃ ট্রেনটি অতিক্রম করার পর আকস্মিকভাবে চলন্ত অবস্থায় আব্দুলপুর স্টেশনের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আবুল হোসেন ও আব্দুল আওয়াল অবৈধভাবে রেলের জিএস রুল অমান্য করে ইঞ্জিন ক্যাবে প্রবেশের চেষ্টা করলে এলএম নাজমুল হক নিষেধ করেন। এই অবস্থায় বিষয়টি পাকশী কন্ট্রোলকে অবগত করলে আইন ভঙ্গ করে আরএনবি’র সদস্যদের ক্যাবে নিতে নিষেধ করেন। আজিমনগর স্টেশনেরে স্টার্টার ও এডভান্স স্টার্টার সিগন্যাল বিপদজনক থাকায় এবং পেপার লাইন কিলয়ার হস্তান্তর করায় ট্রেনটি ধীর গতিতে চলতে থাকে। এসময় নাজমুল হক চিৎকার করে তাদের নেমে যেতে বলেন। এতে আরএনবি সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঈশ্বরদীতে ট্রেন পৌঁছানোর পর দেখে নেয়ার হুমকী দেন। পরবর্তিতে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রেল প্রশাসন নিয়োজিত কর্মকর্তারা সরেজমিনে তাৎক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করে তেল চুরির প্রমাণ পাননি। উপরোন্ত দক্ষতার সাথে ট্রেন চালনার ফলে জ্বালানী রেশন থেকেও ২৯ লিটার তেল রাষ্ট্রিয় কোষাগারে সঞ্চিত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
ইঞ্জিনে উঠার ঘটনাকে তিনি আরএনবি’র জিআর-৯৯ ধারা ভঙ্গ এবং ৯৯(ক), ৯৯(খ), ৯৯(গ) এবং ৯৯(ঘ) ধারায় বর্ণিত ইঞ্জিনে ভ্রমণের বিধি বিধান লংঘন বলে উল্লেখ করেন। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানীমূলক ভাবে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং আরএনবি সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
তদন্ত রিপোর্ট প্রসংগে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) আসাদুল হক জানান, ওই ট্রেনের তেল চুরি হয়নি। তবে আরএনবি’র তেল চুরির প্রচেষ্টার অভিযোগ আরো যাচাই করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত: ২৭ ও ২৮ এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাকে রেলের তেল চুরি চেষ্টার অভিযোগে ঈশ্বরদীতে ট্রেন চালক নাজমুল হোসেন, সহকারী ট্রেন চালক খাইরুল ইসলাম ও ট্রেন পরিচালক রোকনুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত হয়।