প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদেশীর আগমন ঘটলে তাদের কোয়রেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসনের সাথে সোমবার মতবিনিময়কালে পাবনা জেলা প্রশাসনকে এসব কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বিদেশী নাগরিকদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রূপপুর প্রজেক্টে কর্মরত যারা চলে গিয়েছিলেন তারা আবার আসছেন। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাশিয়ায় আবার নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এজন্য রূপপুর প্রজেক্টে যারা আসবেন তাদের আগে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তাদের কাজে লাগাতে হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, মে মাসের ৪ অথবা ৫ তারিখে রূপপুর প্রকল্পে আরও ১৬২ জন বিদেশি আসবেন। তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দুটি ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রূপপুর প্র্রজক্টে কর্মরত শ্রমিকদের পরিবেশ ও কাজ শেষে বেরিয়ে আসার সময় দু’দফা তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে কর্মরত বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদপে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: গত ৬ই এপ্রিল রুশ রাষ্ট্রিয় পরমানু শক্তি কর্পোরেশের-রসাটম রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত ১৭৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে রাশিয়ায় নিয়ে যান। এসময় প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে নয় নিয়মিত রিপ্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ১৭৮জন রাশিয়ান নাগরিকের ঢাকা ত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। এদের মার্চ ও এপ্রিলে যাওয়ার কথা ছিল। যে কাজের জন্য এসব রাশিয়ানদের আনা হয়েছিল, সেকাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তাই এদের ভিসা ও উপ-ঠিকাদারের চুক্তি মেয়াদও শেষ হয়েছে। করোনার কারণে নিয়মিত ফাইট চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় এরা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। নতুন বিশেষজ্ঞ ও কর্মী যারা আসবে তারা ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসে আবেদন করে অপেক্ষামান রয়েছে।