গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের গোলাপগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে রাস্তায় এক বৃদ্ধসহ আরোও দুজনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে(১৬ ফেব্রুয়ারী)উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মাইজভাগ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হয় উপজেলার মৃত আব্দুছ ছামাদ ছেলে এখলাছ উদ্দিন(৬০)সহ আরো দুজন। এ ঘটনায় আহত এখলাছ উদ্দিন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানার লিখিত অভিযোগ ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, জিয়াউর রহমান জিতু একজন মাধকসেবী ও বিক্রেতা। বিগত কয়েকদিন পূর্বে বাদী এখলাছ উদ্দিনের আত্মীয় স্বজনকে মারধর করিয়া গুরুতর আহত করে এবং বাদীর বসতবাড়ীতে হামলা ভাংচুর করে। পরে বাদী এখলাছ উদ্দিনের চাচাতো ভাই তারেক উদ্দিন বাদী হইয়া বিবাদী জিয়াউর রহমান জিতুকে আসামী করিয়া সিলেট আদালতে মামলা(জি.আর মামলা নং-১৯৪/২০২৪ইং)দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামী জিয়াউর রহমান জিতুকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেলে ২২ দিন কারাভোগ পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাইয়া আরো বেপরোয়া হইয়া উঠিছে জিয়াউর রহমান জিতু।
তিনি আরোও অভিযোগ করেন, বিবাদী জিতু ও তাহার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাহার আত্মীয় স্বজনসহ তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে রাত ৮টার দিকে স্থানীয় পীরটিলা জামে মসজিদ হইতে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকস্মিকভাবে বিবাদী জিয়াউর রহমান জিতু ও তাহার সঙ্গেঁ থাকা অজ্ঞাতনামা আরোও ৩/৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র তথা রামদা কিরিছ লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে বাদী এখলাছ মিয়ার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম ও কয়েকটি হাড় ভেঙ্গেঁ যায়।
এসময় এখলাছ মিয়ার চিৎকার শুনে তাহার চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে নাজিম উদ্দিন ও এখলাছ উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম আসা মাত্র তাদেরকেও মারাত্বকভাবে আহত করে জিয়াউর রহমান জিতু ও তাহার সাথে থাকা সঙ্গীয়রা।
তিনি আরোও অভিযোগ করেন, বিবাদী জিয়াউর রহমান জিয়া তাহার কাছে থাকা নগদ ৫,০০০(পাঁচ হাজার) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান জিয়া’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন (01728-574519)নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।