করোনার
প্রভাবে শুরুতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বৃদ্ধি পায় নিত্যপণ্যের দাম।
এসময় স্থানীয় প্রশাসন কঠোর হলে স্বাভাবিক হয় বাজার। এখন রমজানকে সামনে রেখে
বিশ্বনাথে ফের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। বিভিন্ন হারে নিত্যপণ্যের দাম
বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফল-ফসল, তরি-তরকারি ও
মাছের দাম। এছাড়াও বাজারে সৃষ্টি করা হয়েছে পণ্য দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট।
করোনা সংকটে নেই রোজগার, তার উপর দ্রব্যমূুল্য বৃদ্ধিকে বিপাকে পড়েছেন
ক্রেতা সাধারণ।সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম
বেড়েছে চাল, ডাল, পেয়াজ, আদা, রসুন, সয়াবিন তেল, মুড়ি ও আলু’র। যে চাল
ক’দিন আগেও ছিলো ১৪শ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২২শ টাকায়। ৬০ টাকার
ডাল ৯০ টাকা, ১৪০ টাকার আদা ৩৫০ টাকা, ১৩০ টাকার রসুন ১৭০ টাকা, ৪৬০ টাকার
সয়াবিন ৫৫০ টাকা, ১৮ টাকার আলু ২২ টাকা ও ৪০ টাকার মুড়ির দাম বেড়ে দাড়িয়েছে
৬০ টাকায়।উপজেলা সদরের ক্রেতা কয়ছর আহমদ বলেন,
এমনিতেই করোনার প্রভাবে নেই মানুষের আয়-রোজগার। তার উপর নিত্যপণ্যের
মূল্যবৃদ্ধি ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’-এর শামিল।বিশ্বনাথ
পুরাতন বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী বেলাল আহমদ বলেন, চাহিদা বৃদ্ধি পেলেই
অসাধু আড়তদার সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। নিজেদের ইচ্ছে মতো
পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায় তারা। আমরা বাধ্য হয়েই কিনি। কেনা দামের ২-৩ টাকা
বেশি ধরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করি আমরা।এ বিষয়ে
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, নিয়মিত
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। জেলা শহর
থেকে এখানের ব্যবসায়ীরা বেশি মূুল্যে পণ্য আনছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি আমি
উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।