করোনা আতঙ্কে জনপদ যখন স্থবির। চারিদিকে শুধুই নিরবতা। মাঝে মাঝে রাস্তায় দু’একটি পন্যবাহী যানচলাচলের শব্দ। বাতাস এখন পরিস্কার অক্্িরজেনে ভরা। এমন নির্মল বাতাসে পড়ন্ত বিকেলে ঘরে বসে নিই গ্রামীন জনপদের এই শিশুরা। তারা লক ডাউন ভেঙে ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠেছে ফাঁকা মাঠে। করোনা ভয়ে ওরা কাতর হইনি।মঙ্গলবার বিকেলে বাগমারা ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া, সূর্যপাড়া ও দেউলা গ্রামের ফর্কিনী নদীর কূল জুড়ে এমন রং বে রংগের ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠতে দেখা যায় একদল শিশু কিশোরদের। সারাদিন ঘরে বা বাড়িতে থেকে বিকেল হলেই এ যেন তাদের প্রতিদিনের উৎসব। এখানে ঘুড়িও বিক্রি করেন অনেকে। তবে অধিকাংশই অসেন সারা দিনের গৃহবন্ধীদশা ঘুচাতে একটু নির্মল বাতাসে মনপ্রান জুড়াতে। তার পরও আছে পুলিশের তাড়া খাওয়ার ভয়। তবে করোনা সতর্কতা মেনে অধিকাংশই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের চেষ্টা করেন। চাঁনপাড়ার জাহিদুল, মুকুল, সুমন সহ ১০/১২ জন শিশুরা জানান, এখন তাদের স্কুল বন্ধ। সারাদিন বাড়িতে শুয়ে বসে কাটাতে হয়। টিভি মোবাইল আর ভাললাগে না। বিকেল হলে আরো দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই নিজেরা ঘুড়ি তৈরি করে বিকেলে নিয়ে আসেন নদীর ধারে ওড়াতে। পৌরসভার মাস্টারপাড়া মহল্লার গৃহীনি আয়শা বেগম সহ ৪/৫ জন গৃহীনিরা জানান, সারাদিন তারা বাড়িতেই থাকের। তবে বিকেলে নদীর ধারে একটু ঘুরতে আসেন। এখানে শিশুদের ঘুড়ি ওড়ানো তাদের খুব মজা লাগে। তাদের মতে এখানে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন । এছাড়া করোনা বিষয়ে মাস্ক ব্যবহার, ঘন ঘন হাত ধোওয়া সহ অন্যান্য নিয়ম কানুন তারা যথাযথ ভাবে পালন করে থাকেন বলে জানান ।