ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় একটি বাড়িতে পরকীয়া প্রেমে পড়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় এলাকাবাসীর ধরা খেয়েছে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও দাদপুর গ্রামের মাসুদ রানা মিন্টু। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে জনৈক আফজাল দেওয়ানের বাড়িতে। এসময় লোকজন কম থাকায় ধৃতদের সাথে আপোষরফা করে হাতে- পায়ে ধরে দ্রæত মিন্টু ও তার সঙ্গিনী সটকে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানিযেছে। এঘটনায় দাশুড়িয়া এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মিন্টুর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িত হয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলো দাদপুরের পাশের খানজানি গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহিদা খাতুন সাথী। মাসুদ রানা মিন্টু দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বলে ওই কমিটির সভাপতি একরামুল হক পুলক নিশ্চিত করেছেন।
দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বার আনারুল ইসলাম ডাবলু জানান, বিকেলে লোকমূখে শুনতে পাই যে, ট্রাফিক মোড়ের পাশে আফজাল দেওয়ানের বাড়ির একটি কক্ষে এক নারীকে নিয়ে অসামাজিক কাজ চলছে। বাড়ির মালিক আফজালকে এঘটনা জানালে তিনি বলেন, ওই ঘরটি পাবনা সুগার মিলে চাকুরি করে বলে একজন ভাড়া নিয়েছে। বাড়ির মালিককে নিয়ে আমি ওই কক্ষে যেয়ে মিন্টু ও সাথী নামের ওই গৃহবধুকে খারাপ অবস্থায় দেখতে পাই। এসময় মিন্টু আমার হাত ও পা জড়িয়ে ধরে এবং এক পর্যায়ে সটকে পড়ে। মাঝে মাঝেই মিন্টু এই বাড়িতে এসে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো বলে এলাকাবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন। বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে মিন্টুকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে দাশুড়িয়া ইউপির’র চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, আমি লোকমুখে এই ঘটনার কথা জেনেছি। যেহেতু শালিস বা বিচারের জন্য এই বিষয়ে কেউ আসেনি, সেহেতু আমার করণীয় কিছু নেই।
এলাকাবাসী জানায়, এরআগেও মিন্টু আড়মবাড়িয়া এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়েছিল। তার ভাই টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।
এব্যাপারে মাসুদ রানা মিন্টুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসামাজিক কাকে লিপ্ত থাকার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, স্বার্থান্বেষি ও কুচক্রি একটি মহল আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। ##