বড়াইগ্রামে পুলিশের তৎপরতায় বনপাড়া ও জোনাইল হাট বন্ধ

নাটোরের বড়াইগ্রামে মঙ্গলবার ভোর চারটা থেকে মাঠে থেকে উপজেলার প্রধান দুটি হাট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ জন সমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে এসব বন্ধ করা হয়। একই সঙ্গে তারা উপজেলার বেশ কিছু এলাকা সাধারণ লোকজনের অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার অন্যতম প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র বনপাড়া ও জোনাইল হাট। চলমান করোনা আতঙ্কের মধ্যে এ দুটি হাটে লোক সমাগম ঠেকাতে মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ও ওসি (তদন্ত) সুমন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম এ দুটি হাটের প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়। এসব টিমে অন্যান্যের মধ্যে উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রবিউল করিম, আবুল কালাম আযাদ, বাবুল হোসেন, মমিনুল ইসলাম, মতিউর রহমান, ফারুক আহমেদ, শিবলুসহ পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রসুন বোঝাই শ’ শ’ অটোভ্যান, অটোরিক্সা ও ভুটভুটি ঠেকিয়ে দেন। পরে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরৎ পাঠান তারা। এদিকে, পরে পুলিশের কয়েকটি টিম উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি বন্ধে অভিযান চালায়। এ সময় তারা বেশ কিছু মোটর সাইকেল চালকসহ অন্যান্য যানবাহন চালকের নামে কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দেন।
এ সময় বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলাম জানান, সরকারী নিষেধাজ্ঞা স্বত্তে¡ও এ দুটি হাট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু কোন ভাবেই যেন জনসমাগম না হয় সে জন্য ভোর থেকেই আমরা মাঠে থেকেছি এবং হাটে কাউকে প্রবেশ করতেই দেয়া হয়নি। দেশ ও দেশের জনগণকে করোনা থেকে বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও সহযোগিতা করার আহন জানান তিনি।